বিনোদন

সুশান্তের বোন রিয়াকে যৌন হয়রানি করেছেন

সুশান্তের বোন রিয়াকে যৌন হয়রানি করেছেন

সুশান্ত সিং রাজপুত। বলিউডের এক উজ্জল তারার নাম। তবে সে তারা টিকতে পারেনি। ঝরে যেতে হয়েছে অকালেই।

তার মৃত্যু সামনে এনে রেখে গেছে অনেক প্রশ্ন। সুশান্তের মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠেছে বলিউডে যাদের আত্মীয়-স্বজন নেই তাদের জন্য কি এই ইন্ড্রাস্ট্রি? যদি তাদের হতো তাহলে কি অকালে ঝরে যেতে হতো তাকে। দিন যত গড়াচ্ছে, ততোই এ প্রশ্ন নাড়া দিচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।

সুশান্তের ঘটনার পর থেকে উঠে আসছে বলিউডের অন্ধকার দিকও। সেখানে মাদক আর মাফিয়াদের কতটা বিচরণ তাও প্রকাশ পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সুশান্তের মৃত্যুর পর যার দিকে সন্দেহের তীর তিনি আর কেউ নন তার বান্ধবী বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্তের পরিবারের দাবি, রিয়াই পরিকল্পিতভাবে সুশান্তকে হত্যা করেছে। এমনকি তাকে গোপনে খাবারের সাথে মাদকও দিত।

অভিনেতার বাবা এফআইআরে লিখেছিলেন, নিয়মিত বেশি মাত্রায় ড্রাগ দিয়েই তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলেছে রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবার।

এরপরই সুশান্ত ভক্তদের রোষের মুখে পড়েন রিয়া। তাকে দেয়া হয় ধর্ষণের হুমকিও। যার ফলে বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। রিয়াকে নিয়ে সমালোচনা চলছে বলিউডের অন্দরেও। বেশ করেকজন তারকা তো রিয়ার ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।

ভারতের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থা সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। ইতোমধ্যে তাদের হাতে কিছু প্রমাণও লেগেছে বলে ভারতীয় মিডিয়া খবর প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন : কুড়ি বছর অপেক্ষা শেষে নওয়াজের স্বপ্ন পূরণ!

নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরেরোর (এনসিবি) তদন্তে দেখা যায়, রিয়া নিজে ও তার ভাই মাদকাসক্ত। এমনকি সুশান্তকে গোপনে পানীয়’র সাথে মিশিয়ে মাদক দিতেন তিনি। তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে এ তথ্য জানতে পারে তারা।

রিয়ার সাথে যোগাযোগ ছিল বেশ কয়েকজন মাদক মাফিয়ার। গত মঙ্গলবার রাতে দুই ড্রাগ সরবরাহকারীকে গ্রেপ্তারও করেছে নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। করণ ও আব্বাস নামে ওই দুই ব্যক্তি বলিউডের অন্দরে ড্রাগ সরবরাহ করতেন।

চারদিক থেকে রিয়া যখন বেশ চাপে তখন মুখ খুললেন তার অভিনেত্রী বান্ধবী শিবানি দান্ডেকর। ইন্ডিয়া টুডেকে তিনি বলেন, সুশান্তের পরিবার শুরু থেকেই মেনে নিতে পারেনি রিয়াকে। এমনকি সুশান্তের বোন রিয়াকে যৌন হয়রানিও করেছেন। রিয়া নিজেই তাকে ঘটনার দিন এ কথা জানান।

রিয়া মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছেন অভিযোগ করে শিবানি বলেন, এটা সবার জন্য লকডাউনের মজা। আপনারা যদি সত্যিই সুশান্তের জন্য জাস্টিস চান তাহলে তদন্ত কর্মকর্তাদের তাদের কাজ করতে দিন। দয়া করে রিয়া ও তার পরিবারকে একা ছেড়ে দিন।

লাগাতার দোষারোপ রিয়াকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে, যে মৃত্যু নিয়ে এত জলঘোলা তার রহস্য কিন্তু এখনো কাটেনি। সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন নাকি পরিকল্পিত হত্যা তা এখনো পরিস্কার নয়। ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক সিবিআই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুশান্তকে হত্যা করা হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ এখনো তাদের হাতে লাগেনি। তাদের ধারণা এটি আত্মহত্যা। তবে তদন্ত শেষ না হওয়ার আগে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে রাজি নন তারা।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button