খেলা

ধোনির সিদ্ধান্তে অবাক যখন সতীর্থ স্যাম কারেন

ধোনির সিদ্ধান্তে অবাক যখন সতীর্থ স্যাম কারেন

ক্রিকেট মাঠে অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনির সিদ্ধান্তে চমকে যায় প্রতিপক্ষ। বোকা বনে হার মানতেই বাধ্য হন। এবার ধোনির সিদ্ধান্তে চমকে গেছেন এই ক্রিকেটারের সতীর্থই। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ত্রয়োদশ আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ধোনি অবাক করেছেন সতীর্থ স্যাম কারেনকে।

প্রথমবারের মতো চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মাঠে নেমেছেন ইংলিশ বাঁহাতি অলরাউন্ডার কারেন। থালাইবাদের হয়ে মাঠে নামার আগে দলের সঙ্গে পর্যাপ্ত অনুশীলন কিংবা পরিচিত হতেও পারেননি। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। বল হাতে আলো ছড়ানোর পর ব্যাট হাতে ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে বাগিয়ে নিয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও।

আর প্রথম ম্যাচেই ইংলিশ এই অলরাউন্ডারকে চমকে দিয়েছেন ‘সুপার কুল’ অধিনায়ক ধোনি। ম্যাচ জিততে তখন ৩ ওভারে দরকার ২৯ রান। ড্রেসিংরুমে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফিনিশার ধোনি থেকে শুরু করে কেদার যাদবের মতো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। এমন সময় আউট হয়ে গেলেন পাঁচে ব্যাটিংয়ে নামা রবীন্দ্র জাদেজা।

খুব স্বাভাবিকভাবে ধোনি কিংবা কেদারকে আশা করছিলো চেন্নাই সমর্থকরা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে অধিনায়ক ধোনি সিদ্ধান্ত নিলেন ছয়ে ব্যাট হাতে নামবেন কারেন। ব্যাট হাতে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেছেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার। খেলছেন ১৮ রানের ছোট ইনিংস। কিন্তু মাত্র ৬ বলে, ৩০০ স্ট্রাইক রেটে। ফলে চেন্নাইয়ের জন্য ম্যাচটা অনেক সহজ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন : হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে মুম্বাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ধোনির চেন্নাই

কারেন যখন আউট হয়ে ফেরেন তখন আর ১০ বলে ১০ রান লাগে চেন্নাই শিবিরের। এরপরে অধিনায়ক ধোনি ব্যাট হাতে নামেন। তবে ব্যাট হাতে রান করার প্রয়োজন পড়েনি ধোনির, তার আগেই চার বল হাতে রেখে জয়ের দেখা পায় চেন্নাই।

ম্যাচশেষে ধোনির সিদ্ধান্তে চমকে যাওয়ার কথা জানিয়ে কারেন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, জাদেজা আউট হওয়ার পর যখন এমএস ধোনির আগে আমাকে পাঠানো হলো, আমি চমকে গিয়েছিলাম। আমার কাছে তা ছিল বড় ধরনের বিস্ময়। অবশ্যই একটা পরিকল্পনা ছিল, সেটা কাজে দিয়েছে।’

এদিকে ধোনি জানিয়েছেন, কী কারণে তিনি বা কেদার যাদবের আগে পাঠানো হয়েছিল জাদেজা বা কারেনকে। চেন্নাই অধিনায়ক বলেন, ‘একটা সময় আমি ভাবলাম আমাদের জাদেজা ও স্যামের মতো একজনকে উপরে পাঠানো দরকার, যাতে তারা নিজেদের মেলে ধরতে পারে।’

এরপর আরও যোগ করেন, ‘তাদের দুজন স্পিনারের ওভার বাকি ছিল। আমরা বোলারদের কিছুটা ঘাবড়ে দিতে চেয়েছি, এটা একটা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার ছিল। আমরা জানতাম আমাদের ব্যাটিং অর্ডার লম্বা। যদি দুই একটা ছক্কা মেরে দেওয়া যায় তাহলে ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়।’

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button