কলকাতা

পুজোর আগেই চালু হতে পারে মাঝেরহাট ব্রিজ

পুজোর আগেই চালু হতে পারে মাঝেরহাট ব্রিজ

২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছিল মাঝেরহাট সেতু। মারা গিয়েছিলেন ৩জন। আহতের সংখ্যা ছিল ২৫। সেই দিন থেকেই খিদিরপুর, বেহালা, ঠাকুরপুকুর এলাকার যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস ও ডায়মন্ডহারবার রোড ধরে যাওয়া যানবাহনের গতিপথটাই বদলে গিয়েছে।

তার জেরে চরম সমস্যার মধ্যে পড়ে দিন কাটাতে হচ্ছে বেহালাবাসীকে। তাঁদের বেড়ে গিয়েছে যাতায়াতের খরচ, সময়ও লাগছে অনেকটাও বেশি। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত রকমের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে যাতে বেহালার মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়েন। এবার তাঁদের সকলের জন্যই থাকছে সুখবর।

সব কিছু ঠিক থাকলে পুজোর মুখেই চালু হয়ে যেতে পারে মাঝেরহাটের নবনির্মীত সেতু। একই সঙ্গে সেই সময় থেকেই মাঝেরহাট সেতু ধরে আগে যে সব রুটের যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস-অটো চলাচল করতো তার সবই আবার আগের রুটেই ফিরে আসছে।

জানা গিয়েছে এখন মাঝেরহাট সেতুতে শুরু হয়েছে কেবল জোড়ার কাজ। কার্যত দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ধাঁচেই এই সেতুটি ‘কেবল স্টেইড’ ব্রিজ হতে চলেছে। সেতুর নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, ওই সেতুতে কেবল জুড়তে ৩০ দিনের কম সময় লাগবে। চেষ্টা হচ্ছে পুজোর আগেই কেবলের কাজ শেষ করার।

সেই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে কাজ শেষ করতে এখন চলছে দিন-রাত মিলিয়ে কাজ। নবান্ন সূত্রে এটাও জানা গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন নির্মাণের টেকনিক্যাল সমস্ত শর্ত ও যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনেই মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ পুজোর মধ্যেই সম্পূর্ণ করে তা আমজনতার যাতায়াতের জন্য খুলে দিতে।

আরও পড়ুুন: অক্ষয় আমায় ইচ্ছে করে ব্যবহার করেছে: শিল্পা

তাতে বেহালামুখী পুজোর ভিড় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ৬৩৬ মিটার দৈর্ঘ্যের নয়া ব্রিজটি ১৮ মিটার চওড়া এবং চার লেনের হওয়ায় আগের চেয়ে অনেক বেশি গতিতে গাড়ি চলাচল করতে পারবে বলেই কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

মূল সেতুতে আর কয়েকদিন বাদেই শুরু হয়ে যাবে কেবল জোড়ার কাজ। তারমধ্যেই চলবে রাস্তায় পচ দেওয়ার কাজ। একই সঙ্গে এখন কার্যত যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় শুরু হয়েছে ব্রিজের দু’দিকে অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজ। মাঝে মধ্যে এসে নির্মাণ কাজের গতি নিয়ে তদারকি করে যাচ্ছেন স্বয়ং পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

আর পূর্তদপ্তরের রাস্তা বিভাগের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার সুস্মিত বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত শিবির করে বসে আছেন। মাঝে একবার পূর্ব রেলের আপত্তিতে নির্মাণের কাজ থমকে গিয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত গোপনে দফায়-দফায় রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই জটিলতা কাটিয়ে ফের কাজ শুরু করান পূর্তমন্ত্রী।

সব মিলিয়ে পুজোতে এবার বেহালাবাসী কার্যত এই নতুন ব্রিজই উপহার পেতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছ থেকে।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button