জাতীয়

‌একদিনে নমুনা পরীক্ষা প্রায় ১৫ লক্ষ

‌একদিনে নমুনা পরীক্ষা প্রায় ১৫ লক্ষ

দৈনিক করোনা পরীক্ষায় রেকর্ড। একদিনে প্রায় ১৫ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা হল দেশে। পাশাপাশি, গত তিন মাসের মধ্যে প্রথম সংক্রমণের হার নামল ৬ শতাংশের নীচে। করোনা পরীক্ষা বাড়লেও সংক্রমিতের সংখ্যা ৯০ হাজারের নীচেই রইল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যানুসারে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬,০৫২ জন।

মন্ত্রকের দাবি, দেশে গবেষণাগারের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪,৯২,৪০৯টি। এযাবত্‍ প্রতি দশ লক্ষ জনসংখ্যায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৯,৯৪৮ জনের। এছাড়াও গত ৯ দিনে প্রায় এক কোটি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রকের তথ্য বলছে, করোনা পরীক্ষার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি পরীক্ষা হয়েছে দেশের ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। করোনা পরীক্ষায় শীর্ষে রয়েছে গোয়া, দিল্লি, লাদাখ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু। এই মুহূর্তে গোটা দেশে করোনা পরীক্ষায় ১,৮১৮টি গবেষণাগার রয়েছে। যার মধ্যে ১,০৮৪টি সরকারি এবং ৭৩৪টি বেসরকারি।

এযাবত্‍ দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬ কোটি ৮৯ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৪০টি। এদিকে, দেশে করোনা অতিমারীতে ৯২,২৯০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১,১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের ও মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বে ভারতের স্থান দ্বিতীয়। আমেরিকার (‌৬৯ লক্ষ ৭৭ হাজার)‌ পরেই রয়েছে ভারত। দেশে ৫৮,১৮,৫৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, আর সুস্থ হয়েছেন ৪৭,৫৬,১৬৪ জন।

আরও পড়ুুন: যে সব পরিবার একসঙ্গে শরীরচর্চা করেন, একসঙ্গে থাকেন: প্রধানমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক করোনা মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। ওই রাজ্যে ৪৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ৭৬, তামিলনাড়ুতে ৬৬ এবং কর্ণাটকে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছিল, মহারাষ্ট্রে দৈনিক করোনা পজিটিভ কেসের সংখ্যা ২১ হাজারের বেশি ধরা পড়ছিল।

সেই সংখ্যা কিছুটা কমেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছে ১৯,১৬৪-‌তে। একই সময়ে ওই রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭,১৮৪ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে প্রায় ৯ হাজার, কর্ণাটকে ৬,৭৪৮, উত্তরপ্রদেশে প্রায় ৫ হাজার সুস্থ হয়েছেন একদিনে।

দিল্লিতে একদিনে ৩,৮৩৪ জন করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। একমাস আগেও সুস্থতার নিরিখে শীর্ষে ছিল দিল্লি। ৯০ শতাংশ পেরিয়েছিল সুস্থতার হার। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজারের নীচেও নেমে যায়। কিন্তু গত একমাসে ফের আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে যায়।

৪ হাজারের বেশি আক্রান্ত হন। এখন সুস্থতার হার ৮৬ শতাংশে নেমেছে। গতকালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলে উঠতে চলেছে দিল্লি।‌

 

সুত্র: আজকাল.in

আরও পড়ুন ::

Back to top button