এটা কীভাবে সম্ভব: শেবাগ
রোববার রাতে ছক্কার বৃষ্টি ঝড়েছে আরব আমিরাতের মাঠে। এ যেন ঘুম ভাঙানির ম্যাচ।
ক্রিকেটের ক্ষুদে সংস্করণের এ ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৪৯ রান হয়েছে।
মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন পাঞ্জাবের মায়াঙ্ক। ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখেছেন পাঞ্জাব দলের সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। এদিন মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন পাঞ্জাবের মায়াঙ্ক। ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখেছে পাঞ্জাব দলের সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। যার সবই বিফলে গেল। কারণ আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় পেল রাজস্থান।
তবে এমন সব রেকর্ডেকে ছাপিয়ে ম্যাচে যে বিষয়টি এখন সবার সামনে চলে এসেছে তাহলো- পাঞ্জাবের ক্যারিবীয় তারকা নিকোলাস পুরানের ছক্কা বাঁচানোর একটি অসাধারণ ফিল্ডিং।
এমন ফিল্ডিং আর কখনও দেখেনি ক্রিকেটপ্রেমীরা। পুরানের এমন ফিল্ডিংয়ে মজেছেন ক্রিকেটের সাবেক তারকারাও।
ভারতের লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকার বলেছেন, নিজের জীবনে এমন ফিল্ডিং আগে কখনই দেখেননি তিনি। সত্যি মনমুগ্ধকর।
শচীনের চেয়ে বেশি বিস্মিত ভারতে আরেক তারকা ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ। বিস্ময় প্রকাশ করে পুরানের উদ্দেশ্যে শেবাগ টুইট করেছেন, ‘অভিকর্ষ বলতে যে কিছু একটা আছে, তাই ভুলিয়ে দিয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব! অভিকর্ষজ টানকেও হার মানিয়েছ পুরান, কী দুর্দান্ত সেভ!
অনেকটা মজার ছলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া।
তার মতে অমনটি সাহায্য ছাড়া কোনো মানুষ করতে পারে না।
আরও পড়ুুন: ২২৩ রান করেও রাজস্থানের কাছে হেরে গেল পাঞ্জাব
পুরানকে তিনি লিখেছেন, ‘এটা কীভাবে করলে পুরান? তোমার জার্সির নিচে বিশেষ কিছু পরোনি তো? আগে কখনও এমন কিছু দেখিনি।’
ওই দুর্দান্ত ফিল্ডিং দেখে ধারভাষ্যকাররাই প্রথমে জানিয়েছেন, এমন অসাধারণ ফিল্ডিং আলোড়ন তুলবে।
ধারাভাষ্য কক্ষে কেভিন পিটারসেন তৎক্ষণাৎ বলে ওঠেন– ‘আইপিএলে আমার দেখা এটিই সেরা ফিল্ডিং।’
পাশে বসা মাইকেল স্ল্যাটার যোগ করেন, ‘শুধু আইপিএল নয়, আমার দেখা সবসময়ের সেরা ফিল্ডিং এটিই।’
পুরানের সেই বিস্ময়কর ফিল্ডিং শুধু ক্রিকেটমহলকেই থমকে দেননি। বলিউড তারকাদেরও বেশ উদ্বেলিত করেছে।
ক্রিকেটপ্রেমী অভিনেতা রিতেশ দেশমুখ পুরানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে টুইট করেছেন, ‘ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ফিল্ডিংটা দেখলাম মাত্র। অসাধারণ সৌন্দর্য্য পুরান।’
রিটুইটে পাঞ্জাব দলের মালিক অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় না আগে কখনও এমন কিছু দেখেছি। এই ফিল্ডিংটা অনেক বেশি সুন্দর, অনেকটা কবিতার মতো। সন্দেহাতীতভাবেই এটা সবসময়ের সেরা ফিল্ডিং। এটা নিশ্চিতভাবেই সেরা সেভ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। ’
রাজস্থান ইনিংসের অষ্টম ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে মুরুগান অশ্বিনের শর্ট পিচ ডেলিভারিকে সজোরে পুল করে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেন সাঞ্জু স্যামসন।
বল সীমানার ওপারে গিয়েই মাটি স্পর্শ করছিল, ঠিক তখনই বাজপাখির মতো উড়ে এসে সেটিকে প্রথমে ক্যাচ ধরেন পুরান। মুহূর্তেই তিনি অনুধাবন করেন ক্যাচ ধরলেও লাভ নেই। কারণ বলসহ তিনি নিজেই ছক্কায় পরিণত হচ্ছেন। দড়ির ওপারে ভাসমান থেকেই মুহূর্তের মধ্যে বলটিকে বাউন্ডারির ভেতরে ছুড়ে দেন।
এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে ঘটেছে সেই ঘটনা।