রাজ্য

কিশোরীকে বিয়ে করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে বিজেপি নেতা

কিশোরীকে বিয়ে করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে বিজেপি নেতা

স্নেহাশীষ মুখার্জি, নদিয়া: কিশোরীকে বিয়ে করায় পুলিশ গ্রেফতার করল বিজেপি নেতাকে। তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে আজ কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। কৃষ্ণনগর ১ নম্বর ব্লকের ঘটনা।

জানাগেছে, কৃষ্ণনগর ১ নম্বর ব্লকের পোড়াগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অদ্যনাথ সরকার সম্প্রতি বর্ধমানের মেমারিতে গেছিলেন। সেখানে তিনি ১৫ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। ঘটনা জানাজানি হতেই বিজেপির ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে ঘটনা সত্যাসত্যের কথা জানতে পৌঁছান নদিয়া জেলা চাইল্ড লাইনের কর্মীরা।

সেখানে গিয়ে চাইল্ড লাইনের কর্মীরা মেয়েটির বয়সের প্রমাণপত্র দেখতে চান। কিন্তু প্রধান ও তাঁর বাড়ির লোকজন মেয়েটির বয়সের কোনও প্রমান পত্র দেখাতে চাননি বলে অভিযোগ। অদ্যনাথের বিরুদ্ধে গতকাল রাতে জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক ডিএসডব্লিউ ও ভীমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার তাঁদের কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হয়।

নদীয়াজেলা চাইল্ড লাইন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বর্ধমানের চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয় যে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের পোড়াগাছার বাসিন্দা অদ্যনাথ সরকার এক কিশোরীকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছেন মেমারি থেকে।

আরও পড়ুুন: ৫২ কেজির মাছ ধরে ৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে রাতারাতি লাখপতি হলেন দরিদ্রা বৃদ্ধা

সেইমতো নদিয়া চাইল্ড লাইনের কর্মীরা অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে মেয়েটির বয়সের প্রমাণপত্র দেখতে চান। কিন্তু অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান ও তার বাড়ির লোকজন চাইল্ড লাইনের কর্মীদের মেয়েটির বয়সের প্রমাণপত্র দেখাতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ।

আজ সস্ত্রীক ওই বিজেপি নেতাকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হলে। অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মেয়েটিকে তার বাবা বাড়ি নিয়ে যায়।

যদিও পঞ্চায়েত প্রধানকে গতকাল ফোনে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি কেন একজন নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে আসব। আমি আপনার ফোন নম্বরটা সেভ করে রাখলাম। দুদিন পরে আপনাকে আমি জানাবো।

রাজ্য কিষাণ মোর্চার সভাপতি মহাদেব সরকার জানান, অদ্যনাথ ভালো ছেলে ও ঐ রকমের অনৈতিক কাজ করতে পারে না। তবে যদি করে থাকে তাহলে আইন আইনের পথে চলবে। আমি নিজেও জেলার বাইরে ছিলাম। বিষয়টা আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।

আরও পড়ুন ::

Back to top button