খেলা

মুম্বাইর দ্বিতীয় জয়, পাঞ্জাবের দ্বিতীয় হার

মুম্বাইর দ্বিতীয় জয়, পাঞ্জাবের দ্বিতীয় হার

আইপিএলের ১৩তম আসরের ১৩তম ম্যাচে কিংস ইলিভেন পাঞ্জাবকে ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মুম্বাইয়ের ই বিভাগেই দারুণ পারফর্মের সুবাদে পাঞ্জাবের ইনিংস থামে মাত্র ১৪৩ রানে।

ব্যাটিংয়ে কিংস ইলিভেন পাঞ্জাবের মূল ভরসা ছিল দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দুজনই থিতু হলেও বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বোল্ড হন আগারওয়াল। ১৮ বলে ২৫ রান করেন তিনি। পরের ওভারেই করুন নায়েরকে বোল্ড করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কিংস ইলিভেন পাঞ্জাব।

রাহুল আর নিকোলাস পুরান মিলে যোগ করেন ২১ রান। তাদের জুটি ভাঙেন স্পিনার রাহুল চাহার। তার বলে বোল্ড হন রাহুল (১৯ বলে ১৭ রান)। এক প্রান্ত আগলে রাখেন নিকোলাস পুরান। তবে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন পাঁচে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

দ্রুত রান তুলে কিংস ইলিভেন পাঞ্জাবের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন নিকোলাস পুরান। ২৭ বলে ৪৪ রান করে জেমস প্যাটিনসনের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন পুরান। পরের ওভারেই ১৮ বলে ১১ রান করে রাহুল চাহারের দ্বিতীয় শিকার হন ম্যাক্সওয়েল। ম্যাক্সওয়েলের বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় কিংস ইলিভেন পাঞ্জাব।

এরপর জেমস নিশাম আর সরফরাজ খান দুজনেই ফিরে যান ৭ রান করে। শেষদিকে কৃষ্ণাপ্পা গৌথামের ১৩ বলে ২২ রান পরাজয়ের ব্যবধানই কমায়।

এর আগে আবু ধাবিতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কিংস ইলিভেন পাঞ্জাব। ব্যাটিংয়ে নেমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সূচনাটা মোটেও ভালো হয়নি। আগের দুই ম্যাচ মিলিয়ে ১৫ রান করা ওপেনার কুইন্টন ডি কক এ ম্যাচে বোল্ড হন রানের খাতা খোলার আগেই। শেলডন কটরেলের দারুণ এক ডেলিভারিতে পরাস্ত হন তিনি।

আরও পড়ুুন: দুবাইতেও রমরমা আইপিএলের ফিক্সিং

সূর্যকুমার যাদব আর রোহিত শর্মার জুটি বড় হতে দেননি মোহাম্মদ শামি। তার সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন যাদব। ২১ রানে ২ উইকেট হারায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ইশান কিষান আর রোহিত শর্মা মিলে গড়েন ৬২ রানের জুটি। কিন্তু রানের গতি ছিল কিংস ইলিভেন পাঞ্জাবের নিয়ন্ত্রণে।

ইশান কিষান এগিয়ে যাচ্ছিলেন মন্থর গতিতে। মারকুটে হয়ে খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে করুন নায়েরের হাতে ক্যাচ দেন কিষান। ৩২ বলে ২৮ রান করেন তিনি।

কিষানের বিদায়ের পর মাঠে নামেন কিরন পোলার্ড। বিগত ম্যাচগুলোতে হার্দিক পান্ডিয়কে পোলার্ডের আগে ক্রিজে পাঠানো হলেও এ ম্যাচে পোলার্ডকে পাঠানো হয় মাঠে।

পোলার্ড ও রোহিত মিলে দলের রানের গতি বাড়ানোতে নজর দেন। ১৫ তম ওভারে লেগ স্পিনারের রভি বিষ্ণইয়ের বলে একটি করে ছক্কা হাঁকান দুজন। পরের ওভারে জেমস নিশামের ওপর চড়াও হন রোহিত। ঐ ওভারে দুই চার আর দুই ছক্কা মারেন তিনি। ১৫ ও ১৬ তম ওভার মিলে ৩৭ রান যোগ হয় বোর্ডে।

পরের ওভারেই এ জুটি ভেঙে দেন মোহাম্মদ শামি। লং অফে রোহিত শর্মা তুলে মারলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর জেমস নিশাম সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দারুণভাবে তালুবন্দী করেন। সীমানার দঁড়ির ভেতর বল ধরলেও ভারসাম্য রাখতে গিয়ে বাইরে চলে যান ম্যাক্সওয়েল। তবে যাওয়ার আগে বল তুলে দেন হাওয়ায়। সীমানার ভেতরে থাকা নিশাম লুফে নেন ক্যাচ।

এরপর ঝড় তুলেন কিরোন পোলার্ড আর হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ ওভারে আরো তীব্র হয় সেই ঝড়। স্পিনার কৃষ্ণাপ্পা গৌথামের করা শেষ ওভারে পান্ডিয়া-পোলার্ড মিলে হাঁকান চার ছক্কা। যার মধ্যে শেষ তিন বলে তিনটি ছক্কা মারেন পোলার্ড। শেষ তিন ওভারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৬২ রান সংগ্রহ করলে ১৯১ রানের পুঁজি পায় মুম্বাই।

আরও পড়ুন ::

Back to top button