কোমায় আচ্ছন্ন পূর্ব মেদিনীপুরের এই মহকুমা হাসপাতাল
নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঁথি: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে কাঁথি (দারুয়া) মহকুমা হাসপাতাল কোমায় আচ্ছন্ন। চিকিৎসা পরিষেবা বেহাল, করোনা এবং সাধারণ রোগী দের একসঙ্গে চিকিৎসার প্রেক্ষাপটে নার্স,কর্মী,চিকিৎসক দের অনেকেই করোনা সংক্রমণের শিকার।
রোগী, আত্মীয়স্বজন, হাসপাতালে আসা সাধারণ মানুষের কোভিড সংক্রমণ এড়ানোর কোন পথ নেই, হাসপাতালে আইসিইউ নেই। নাকের বদলে নরুনের মত সঙ্কটাপন্ন রোগীর ভরসা এইচডিইউ। হাসপাতালের পরিকাঠামো বেহাল। আবর্জনা ও জঞ্জাল স্তূপীকৃত অবস্থায় হাসপাতালে র চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।
পর্যাপ্ত ডাক্তার, কর্মী, নার্সের অভাবে হাসপাতাল ধুঁকছে। মেডিক্যাল কলেজ স্হাপন তো দূরের কথা নুন্যতম আধুনিক চিকিৎসা অমিল। অবস্থা এমন বেহাল যে হাসপাতাল সুপার সরকারী নোটিশ দিয়ে দারুয়াতে বিশেষজ্ঞ আউটডোর পরিষেবা ২২- ৩১ অক্টোবর বন্ধ থাকার কথা বলে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পটাশপুর মংরাজ আগমনী ক্লাবের দুর্গোৎসবের শুভ সূচনা
এমন কি শিশু ও মাতৃ বিভাগের আউটডোর পরিষেবাও বন্ধ থাকবে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর পুজো মরশুমে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করার ঘোষণা করেছেন। ডাক্তার, নার্স ও কর্মীর অভাবে যেখানে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে, তখন কোভিড চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা তো দুষ্কর মাত্র।
গোঁজামিল দিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা আর কতদিন চলবে। সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য অধিকর্তা কে ই-মেইল পাঠিয়ে অবিলম্বে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স,স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ সুনিশ্চিত করে আউটডোর পরিষেবা ও কোভিড চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন।
সিপিআইএম নেতা মামুদ হোসেন বলেন রাজ্য সরকার জঙ্গলমহল ও পাহাড়ে ভোটের রাজনীতির জন্য আগুন নিয়ে খেলছেন। খেলা,মেলা,মোচ্ছব, ক্লাব অনুদান, দানখয়রাত করতেই ব্যস্ত।মানুষ বাঁচলেই ভোটের রাজনীতি হবে – এই সরল সত্য বিস্মৃত হয়েছেন।হাসপাতালে রোগী র চিকিৎসা পরিষেবা উপেক্ষিত।হাসপাতালেরই চিকিৎসা আশু জরুরী বলে অভিমত প্রকাশ করেন সিপিআইএম নেতা মামুদ হোসেন।