ওপার বাংলা

বাইরে অস্ত্র নিয়ে পাহারা, ভেতরে চলে ধর্ষণ

বাইরে অস্ত্র নিয়ে পাহারা, ভেতরে চলে ধর্ষণ
প্রতিকি ছবি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঘরের বাইরে পাহারায় বসিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির একশিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর মা পুলিশের জরুরি পরিসেবা নম্বর ৯৯৯ কল দেন। ওই শিশুটির মা চার জনকে অভিযুক্ত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।

অভিযুক্তরা হলেন- সোনারগাঁও আলীরচর এলাকার মৃত. এমদাদুল হক পারভেজের ছেলে মো. নাছির (১৯), ভোলার চরফ্যাশনের মৃত. হাসমত আলীর ছেলে এনায়েত হোসেন (১৬), যশোর কোতয়ালী এলাকার ইসমাইল গাজীর ছেলে উজ্জ্বল (১৫) এবং পটুয়াখালী বাউফল এলাকার সুলতানের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৬)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী গ্রামের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় গত পাঁচ মাস যাবত সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জে বসবাস করছিল।

বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিবেশী নাছিরের বাড়ির সামনে খেলা করার সময় শিশুটিকে জোর করে ঘরে নিয়ে যায় নাছির। পরে এনায়েত হোসেনের সহযোগিতায় শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে।

আরও পড়ুন: সৎ মাকে ধর্ষণের চেষ্টা, ছেলে আটক

ধর্ষণের সময় ঘরের দরজার সামনে পাহারারত অবস্থায় ছিল অভিযুক্ত উজ্জ্বল ও আরিফুল ইসলাম নামে আরো দুই জন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, রাতে মেয়ের কাছ থেকে এ ধর্ষণের ঘটনা জানতে পারে তার মা। এরপর ওই শিশুটির মা সকালে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে অভিযোগ করেন। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক বলেন, ‘ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি নাছির ভুক্তভোগীদের পূর্বপরিচিত।

সে সূত্র ধরে নাসির ভুক্তভোগীকে ঘরে নিয়ে যায় এবং তার তিন বন্ধু ধর্ষণে তাকে সহযোগিতা করে। মামলায় চার জনকেই অপরাধী হিসেবে বিবেচিত করে আসামি করা হয়েছে।

ওসি কামরুল ফারুক আরো বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর প্রক্রিয়া চলছে।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button