পূর্ব মেদিনীপুর

ভগবানপুরে নবমীর কুমারী পূজা

ভগবানপুরে নবমীর কুমারী পূজা

নিজস্ব প্রতিনিধি, ভগবানপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর কলাবেড়িয়ায় মিলনি বাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির উদ্যোগে দুর্গাপুজার পাশাপাশি দীর্ঘ আট বছর ধরে কুমারী পূজা হয়ে আসছে। এই ক্লাবের পূজো ১৯৬৭ সালে শুরু হয়, কিন্তু মাঝে দুর্যোগ সহ বেশকিছু কারণ বশত দীর্ঘ কয়েক বছর বন্ধ থাকে দুর্গা পূজা।

কিন্তু পরবর্তীতে সুক্রুল্যাপুর, নেলুয়া, দেউড়িবাড় তিনটি গ্রাম মিলিয়ে একত্রিত হয়ে ২০০৯ সালে ফের মিলনি বাজার কমিটির পূজো শুরু করে। তবে কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন করোনা আবহের মধ্যে আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কুমারী পূজার ব্যবস্থা করেছি, এবং হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে মন্দির প্রাঙ্গনে কাউকে ঢুকতে দিইনি।

আরও পড়ুন: শারদ উৎসবে মেতে ওঠে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার মানুষ

সাথে সাথে মাক্স, স্যানিটাইজার প্রত্যেক দর্শনার্থীদের আমরা দিয়েছি। তবে দীর্ঘ আট বছর ধরে নিয়মনীতি মেনে কুমারী পূজোর আয়োজন করে আসছে এই কমিটি। করোনা আবহের মধ্যে তেমন কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ না নিলেও দেড় লক্ষ্য টাকা বাজেটে এ বছরের পূজোর ব্যবস্থা করে মিলনি বাজার সার্বজনীন।

আরও পড়ুন: শাস্ত্রে নবপত্রিকাকে বলা হয়েছে ‘নবপত্রিকাবাসিনী নবদুর্গা

আট বছর ধরে হয়ে আশা কুমারী পূজার বিশেষত্ব হিসেবে তাঁরা নারীর অধিকার নিয়ে তুলে ধরেন প্রতি বছর। নারীরা শক্তিময়ী, মাতৃ স্থানীয়, তাঁরা নির্যাতিত নয়। যেভাবে দেশ সহ রাজ্য জুড়ে নারী অবহেলিত, নীপিড়িত, লাঞ্ছিত, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভাষা প্রকাশ করে কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে।

এবং এবছর কুমারী রুপে পূজীত হবে ৮ বছর বয়সের তিতলি সৎপতি। এবং তিতলি সৎপতিকে কুমারী রুপে পেয়ে খুশি মিলনী বাজার সার্বজনীন।

আরও পড়ুন: মেয়েদের ঘর সংসার এর সঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে দেবী দুর্গার ইতিকথা

আরও পড়ুন ::

Back to top button