স্বাস্থ্য

একদিনে কত সময় ব্যায়াম করবেন?

একদিনে কত সময় ব্যায়াম করবেন?
প্রতিকি ছবি

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। শরীর ঠিক তো সব ঠিক। শরীর সুস্থ থাকলে সব কিছুই ভালো লাগে। সুস্থ দেহ এবং সুস্থ মন- সুস্থ মানসিকতার শিল্প বহন করে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমরা কতো কিছুই না করি। শরীরকে সুস্থ এবং মনকে নির্মল রাখার জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা অর্থাৎ ব্যায়াম করার গুরুত্ব অপরিসীম। তেমনি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শরীর চর্চা করলে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে কি পরিমাণ ব্যায়াম একজন মানুষের জন্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি তা আগে জানতে হবে।

শরীরচর্চা কেবল শরীরকে নির্দিষ্ট শেপেই রাখে না বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সেই সাথে মানসিক অবসাদকে দূরে রাখে। একটা বিষয় অস্বীকার করার উপায় নেই যে শরীর চর্চা স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

গবেষকরা বলছেন ব্যায়াম করলে শরীরের পাশাপাশি মনও অনেক ভালো থাকে। আপনি যখন ব্যায়াম করার জন্য নিজের শরীর নড়াচড়া করেন তখন সেরোটোনিনের মত হরমনগুলো শরীর থেকে নিঃসৃত হয় যা মন মেজাজ ভালো রাখে। ব্যায়াম করলে মেটাবলিজম বাড়ে সেই সাথে হৃদযন্ত্রও ভালো রাখে। এতে করে আপনার শরীরে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে শরীরে রোগ বালাই এর ঝুঁকিও কমে। বিশেষত যারা হাড় পেশী শক্তিশালী করতে চায় তাদের জন্য ব্যায়াম করার বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন: পুরুষের হার্ট অ্যাটাকে ঝুঁকি বাড়ায় সুন্দরী মেয়ে!

একদিনে কি পরিমাণ ব্যায়াম করবেন:

প্রথমেই একটা জিনিস মনে রাখতে হবে একেকজনের শরীরের গঠন একেক রকম। সেই হিসেবে শরীরচর্চায়ও আসবে ভিন্নতা। আপনি যদি এমন কেউ হন ব্যায়াম করতে অভ্যস্ত না হন সেক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শুরু করেন। গবেষকরা বলছেন, প্রতি সপ্তাহে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম বা ৭৫ থেকে ১৫০ মিনিট উচ্চ গতিতে ব্যায়াম করা উচিত। পেশী শক্তিশালী করণের জন্য সপ্তাহে অন্তত দুদিন ব্যায়াম করাও অনেক কষ্টকর।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যায়াম কখন হয়:

একদিনে কত সময় ব্যায়াম করবেন?
প্রতিকি ছবি

আপনি মনে করতে পারেন কয়েক ঘন্টা জিমে ঘাম ঝরালে তা আপনার জন্য উপকারী্ প্রত্যেক ব্যক্তির হিসেবে ব্যায়ামের ধরণে পার্থক্য হবে। উদাহরণস্বরুপ অ্যাথলেটদের প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা জিমে ব্যয় করতে হয় কারণ এটি তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আপনার আমার এত সময় নেই। যারা খাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ব্যাখ্যা ভিন্ন হতে পারে।

তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দেবে। যেমন- হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, ক্ষুধা কমে যাওয়া, পায়ে অস্থিরতা, ডিহাইড্রেশন, ঘুম কম হওয়া বা ইনমসনিয়ায় ভোগা, মেজাজ খিটখিটে, হাড় দূর্বল হয়ে যাওয়া ও তীব্র ক্লান্তি বোধ করা।

আরও পড়ুন: কালো দাগ পড়েছে দাঁতে?

আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বাড়ে সেক্ষেত্রে বেশি খাওয়া হয়ে যায়, এমনকি অনেক সময় হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও দেখা দেয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button