খেলা

ইতিহাস গড়ে পঞ্চমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই

ইতিহাস গড়ে পঞ্চমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই

দিল্লি ক্যাপিটালস: ‌২০ ওভারে ১৫৬/‌৭ (‌শ্রেয়স ৬৫*‌, বোল্ট ৩/‌৩০)‌
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৮.‌৪ ওভারে ১৫৭/‌৫ (‌রোহিত ৬৮, নর্ত্‍জে ২/‌২৫)‌
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পাঁচ উইকেটে জয়ী।

সেমিফাইনাল, ফাইনাল ম্যাচে বরাবরই ব্যর্থ হন রোহিত। তাঁর টিম যতই চারবার আইপিএল জিতুক, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রোহিত শর্মার ব্যাটে রান থাকে না। কোয়ালিফায়ারে ব্যর্থ হতেই চারিদিকে এভাবেই সমালোচনা শুরু হয়েছিল হিটম্যানের।

কিন্তু দুবাইয়ে আইপিএলের ফাইনালে এ যেন এক অন্য রোহিত শর্মা। চোট, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রথমদিকে দলে নাম না থাকা-সমস্ত কিছুর জবাব যেন এদিনই দিয়ে দিলেন। নিজের ২০০ তম আইপিএল ম্যাচে খেললেন অধিনায়কোচিত ইনিংস।

ইশান কিষান, ডি’‌কক, সূর্যকুমাররাও তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন। আর ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে পাঁচ উইকেটে দিল্লিকে হারিয়ে পঞ্চমবার আইপিএল খেতাব জিতে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

মঙ্গলবার অবশ্য টস জেতেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স। কিন্তু প্রথমে ব্যাটিংয়ের তাঁর সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়। কারণ শুরুতেই বোল্টের দাপটে ফিরে আসে কোয়ালিফায়ার ওয়ানের স্মৃতি। সেদিন শূন্য রানেই তিন উইকেট পড়ে গিয়েছিল দিল্লির।

আরও পড়ুন: প্রস্তুত হচ্ছেন তাপসী

আর এদিন প্রথম বলেই আবার আউট হন গত ম্যাচের নায়ক মার্কাস স্টইনিস। দু’‌ওভার পর ২ রান করে আউট হন আজিঙ্ক রাহানেও। আর দু’‌জনেই আউট করেন বোল্ট। অন্যদিকে, ১৫ রান করে বোল্ড হন ধাওয়ানও।

এরপর অবশ্য পালটা লড়াই শুরু করেন শ্রেয়স আয়ার এবং ঋষভ পন্থ। দু’‌জনে মিলে ইনিংসের হাল ধরেন। ঋষভ ৩৮ বলে ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। মারেন ৪টি চার ও ২টি ছয়। শ্রেয়স করেন ৫০ বলে অপরাজিত ৬৫ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে দিল্লি করে ১৫৬ রান। মুম্বইয়ের হয়ে চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন বোল্ট। তবে বুমরাহ কোনও উইকেট পাননি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন রোহিত-ডি’‌কক। ডি’‌কক ২০ রান করে আউট হলেও উলটোদিকে নিজস্ব ঢংয়ে ব্যাট করতে থাকেন রোহিত। তবে তাঁর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতেই ১৯ রানে রানআউট হন সূর্যকুমার।

এরপর ইশানকে সঙ্গে নিয়ে রান তাড়া করতে থাকেন রোহিত। শেষে ৬৮ রানে যখন আউট হন ম্যাচ তখন মুম্বইয়ের পকেটে। ৫১ বলে এই রান করেন হিটম্যান। মারেন ৫টি চার ও ৪টি ছয়। শেষপর্যন্ত ইশান এবং হার্দিক-পোলার্ডরা মিলে মুম্বইকে ৮ বল বাকি থাকতেই জয় এনে দেয়।

 

সুত্র: সংবাদ প্রতিদিন

আরও পড়ুন ::

Back to top button