টলিউড

‘যার ডিভোর্স তার খবর নাই, পাড়াপড়শির ঘুম নাই

‘যার ডিভোর্স তার খবর নাই, পাড়াপড়শির ঘুম নাই
ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় নবমিতা চট্টোপাধ্যায়

টিভি ও চলচ্চিত্রাভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। উত্তম কুমারের নাতনি নবমিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ২০১৪ সালে ঘর বেঁধেছিলেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছর একসঙ্গে জীবন কাটানোর পর তাদের জীবনের পথ আলাদা হয়ে যায়। কারণ গত বছর তারা বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আদালতে আবেদন করেন।

এদিকে কিছুদিন আগে সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করে, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় ও নবমিতা চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এতে ভাস্বর বলেন—গত ১২ আগস্ট আমাদের ডিভোর্স হয়েছে। কিন্তু এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।

ঢাকঢোল পিটিয়ে বলার প্রয়োজন মনে করিনি।’ বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যম ‘বাড়াবাড়ি’ করছে বলে মনে করেন ভাস্বর। এ নিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

এ অভিনেতা কথার শুরুই করেছেন বাংলা প্রবাদ দিয়ে, ‘কথায় বলে, যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়াপড়শির ঘুম নাই।’ কিন্তু এই সংজ্ঞাটা বদলে গেছে।

আরও পড়ুন: পরীমনির নতুন উপদেষ্টা!

এখন হয়েছে—‘যার ডিভোর্স তার খবর নাই, পাড়া-পড়শির ঘুম নাই!’ এর পর তিনি প্রশ্ন ছুড়েছেন সাংবাদিকদের, ‘আচ্ছা, ডিভোর্স হওয়াটা খুব আনন্দের না সুখের? যে আপনারা নিউজটা করার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছেন? আপনাদের ঘরে ডিভোর্স হয় না? নাকি আপনারা ডিভোর্স শব্দটা ইন্ডাস্ট্রির ভেতর ছাড়া অন্য কোথাও শোনেননি!’

তারকাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মানুষের কৌতূহল বরাবরই বেশি। শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির বিষয়টি উল্লেখ করে ভাস্বর লিখেন—‘শ্রাবন্তীর পেছনে তো আদাজল খেয়ে লেগেছেন।

একবারও ভেবে দেখেছেন, ওর ছেলের উপর দিয়ে কী ঝড় যায়? তার তো মা! নাকি, আপনাদের সেই সেন্টিমেন্টও নেই? শুধু যেকোনোভাবে মুখরোচক খবর করলেই হলো!’

নবমিতার সঙ্গে ভাস্বরের এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এর আগে ২০০৭ সালে প্লাবনীর সঙ্গে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম বিয়ে ভেঙে যায়। তবে তার প্রথম সংসারের অভিজ্ঞতা ছিল ভীষণ তিক্ত। প্লাবনীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তখন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সব তিক্ততা ভুলে নবমিতার সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন এই অভিনেতা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button