বলিউড

১৯ বছরেই বিশ্বসুন্দরী, সুস্মিতা সেনের জন্মদিন আজ

১৯ বছরেই বিশ্বসুন্দরী, সুস্মিতা সেনের জন্মদিন আজ
সুস্মিতা সেন

ডাকসাইটে সব সুন্দরীদের হারিয়ে ১৯৯৪ সালে ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স’ খেতাব অর্জন করেন। এর ফলে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সুযোগ পান। সবাইকে চমকে দিয়ে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই প্রথম ভারতীয় হিসেবে ‘মিস ইউনিভার্স’-এ সেরার মুকুটও জয় করে নিলেন তিনি।

তিনি সুস্মিতা সেন। বাঙালি সুন্দরী-অভিনেত্রী। বাজিমাত করেছেন শোবিজে। আন্তর্জাতিক আঙ্গিনাতেও তার সাফল্যের আলো ছড়িয়েছে। ‘মিস ইউনিভার্স’-এর খেতাব জয় করার পরের বছর বিখ্যাত জেমস বন্ড সিরিজের ‘গোল্ডেন আই’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে সেই সিনেমায় অভিনয় করেননি তিনি। এ নিয়ে তার কোনো আক্ষেপ নেই। কিন্তু সুস্মিতার ভক্তরা আজও আফসোস করেন, জেমস বন্ডের নায়িকা হিসেবে প্রিয় অভিনেত্রীকে দেখতে না পারার জন্য।

সুন্দরী, গুণি অভিনেত্রী, আত্মবিশ্বাসী, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের সুস্মিতা সেনের আজ জন্মদিন। ১৯৭৫ সালের ১৯ নভেম্বর
হায়দারাবাদের অন্ধ্র প্রদেশে এক বাঙালি পরিবারে তার জন্ম। তার বাবা সুবীর সেন বিমানবাহিনীর প্রাক্তন উইং কমান্ডার এবং মা সুভ্রা সেন অলঙ্কার ডিজাইনার এবং দুবাইভিত্তিক একটি দোকানের মালিক। সুস্মিতা নতুন দিল্লীতে বিমান বাহিনীর গোল্ডেন জুবিলী ইন্সিটিউট দিয়ে শিক্ষা জীবনে পা রাখেন।

আরও পড়ুন: সুশান্তকে অপমান করায় রণভীরকে বয়কটের ডাক

১৫ বছর বয়স থেকেই শোবিজের সঙ্গে তার পথচলা। প্রথমদিকে র্যাম্পে হেঁটেছেন, অংশ নিতেন নানা রকম ফটোশুটে। ১৯৯৪ সালে এসে তার ভাগ্যটা বদলে গেল। মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত হয়ে বলিউডে শুরু হলো সুস্মিতার মজবুত পদচারণা।

১৯৯৬ সালে ‘দাস্তাক’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন সুস্মিতা সেন। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ছবিটি। নতুন করে লেগে রইলেন তিনি সাফল্যের আশায়। সাফল্য এলো ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’-এ। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমা দিয়ে ফিল্মফেয়ার সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার ঘরে তোলেন সুস্মিতা। একই বছর মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘সির্ফ তুম’। এই সিনেমার জন্যও তিনি একই পুরস্কার পান।

এরপর ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে বহুবার সুস্মিতা হতাশ হয়েছেন। তবে কখনোই হাল ছাড়েননি তিনি। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন পরিশ্রম আর মেধায় ভর করে। খুব বেশি সিনেমায় কাজ না করলেও সুস্মিতার নামের পাশে আছে ‘ফিজা’, ‘বাস ইতনা সা খোয়াব’, ‘ম্যায় হু না’, ‘ফিলহাল’, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া’, ‘আঁখে’র মতো ব্লকবাস্টার সিনেমাগুলো।

আইটেম কন্যা হিসেবেও সুস্মিতার সুনাম রয়েছে। তার অভিনীত ‘মেহবুব মেরে’, ‘দিলবার দিলবার’ গানগুলো নব্বই দশক মাতিয়েছে।

বাঙালি হলেও বাংলা সিনেমায় খুব একটা তার পদচারণা নেই। উইকিপিডিয়া বলছে, সুস্মিতা কাজ করেছেন ‘যদি এমন হতো’ এবং ‘নির্বাক’ নামের দুটি বাংলা সিনেমায়।

আরও পড়ুন: সপরিবারে আইসোলেশনে সালমান খান

সুস্মিতা সেনের নামটি সিঙ্গেল মাদার হিসেবে এই উপমহাদেশে আইকনিক। তিনি ২০০০ সালে রেনি নামের এক মেয়ে শিশু দত্তক নিয়ে ইতিহাস তৈরি করেন। মাত্র ২৫ বছর বয়সে অবিবাহিত নারী হিসেবে শিশু দত্তক নেওয়ায় তার অভিভাবকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমাজপতিরা। কিন্তু মুম্বাই আদালত সব প্রশ্ন থামিয়ে সুস্মিতার পক্ষে রায় দেয়। যুগান্তকারী সেই রায়ের পর ভারতে সিঙ্গেল মাদার হওয়ার চর্চাটা বেড়েছে মর্যাদার সঙ্গে।

অবশেষে ২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি আলিশা নামে তিন মাস বয়সী আরও মেয়ে শিশু দত্তক নেন সুস্মিতা। বর্তমানে রেনি, আলিশার সঙ্গে বেশ দারুণ কাটছে তার দিনগুলো। সঙ্গে আছেন প্রেমিক রোহমান শল।

বর্তমানে সিনেমায় খুব একটা নিয়মিত নন সুস্মিতা। তবে সম্প্রতি তিনি ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। ওয়েব সিরিজ ‘আরিয়া’র মধ্য দিয়ে রূপালি পর্দায় ফেরেন তিনি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button