ভাগ্য ফেরাতে দামি রত্ন নয়, কাজে লাগান ফিটকিরি…
মানুষের জীবনে ভালো মন্দ সমানভাবে থাকে। কখনো ভালো তো কখনো খারাপ। জীবনে কখনোও টানা ভালো সময় যায় না, আবার কখনো খারাপ সময়ও যায় না। কিন্তু আমরা চাই আমাদের সবসময়ই ভালো যাক। কিছু কিছু মানুষের তো ভালো সময় আসতেই চায় না, খারাপ সময় শেষ হতেই চায় না। তাই অনেকে সাহায্য নেন জ্যোতিষীর।
জ্যোতিষীরা বেশিরভাগ সময় রত্ন দিয়ে ভাগ্য ফেরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বাস্তু মতে ফিটকিরি অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করে আমাদের। আজকে আমরা জেনে নেবো কীভাবে ফিটকিরি দিয়ে নিজের ভাগ্য ফেরানো যায়।ফিটকিরি সাধারণত জল পরিশোধন করার কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এটা গ্রহ ফাঁড়া কাটাতেও সাহায্য করে।
জীবনে কোন বাধা বিপত্তি এলে তা কাটিয়ে তুলতে পারে এই জিনিসটি। সমস্ত নেতিবাচক এবং অশুভ শক্তিকে দূরে রাখতে পারে ফিটকিরি। কিন্তু এই ফিটকিরি ব্যবহার করার কিছু নিয়ম আছে।
আসুন তাহলে যেনে নেওয়া যাক সেগুলি কি কি…
১। বাথরুমে একটি বাটিতে ফিটকিরি রাখুন। এই ফিটকিরি প্রতি মাসে বদলে ফেলুন। এর ফলে আপনার বাড়ির সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যাবে। ফিটকিরি আপনার বাড়িতে থাকা সমস্ত নেতিবাচক শক্তি গুলিকে শুষে নেয়, বাড়ির উপর তার প্রভাব বিস্তার করতে দেয় না।
আরও পড়ুন: পুরুষের মনকে উসকে দেয় নারীর যে অভ্যাসগুলি
২। অনেকেই এমন আছেন যারা অনেক পরিশ্রম করেন কিন্তু আশানুরূপ ফল পান না। জীবনের প্রতি পদক্ষেপে হতাশ হতে হয় তাদের। তাদের ক্ষেত্রে বলবো একটা কালো কাপড়ে এক টুকরো ফিটকিরি বেঁধে বাড়ির সদর দরজার সামনে ঝুলিয়ে রাখুন। এর ফলে আপনার বাড়িতে এবং আপনার জীবনে কোন অশুভ শক্তি বা কোন নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারবে না।
৩। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে নজর দোষে, বিশেষ করে বাচ্ছারা। এরকম ক্ষেত্রে যার নজর লাগছে তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত সাতবার ফিটকিরি ঘষে নিন। এবং ঐ ফিটকিরির টুকরোটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলুন। নজর দোষ পুরোপুরি কেটে যাবে।
৪। ঘুমের মধ্যে অনেকে ভয় পেয়ে চমকে ওঠেন। কোন নেতিবাচক শক্তির প্রভাবে এরকম হয়। যাদের এরকম হয় তারা ঘুমনোর সময় বালিশের নিচে এক টুকরো ফিটকিরি নিয়ে ঘুমোতে পারেন। এর ফলে আপনার কাছে ঘেঁষতে পারবেনা কোন নেতিবাচক শক্তি। ফিটকিরি টেনে নেবে সেই নেতিবাচক শক্তিকে।
৫। সাংসারিক অশান্তির ক্ষেত্রে ফিটকিরি গুঁড়ো করে ঘরের কোণায় ছড়িয়ে দিন। এর ফলে ঘর বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তি দূরে থাকবে, আর সংসারে কোন অশান্তিও হবে না।