এক ছাদনাতলাতেই বিয়ে হল মা-মেয়ের
বয়স একটা সংখ্যা। আসল কথা মনটাকে তরতাজা রাখা, মনের বয়সটাকে ধরে রাখা। সেই কাজটাই করতে পেরেছেন বেলীদেবী। গোরক্ষপুরের এই মহিলা বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মেয়ের সঙ্গেই। ২৭ বছরের মেয়ে এবং তাঁর প্রায় দ্বিগুণ বয়সি মায়ের বিয়ে হল একই মঞ্চে, বিয়ে দিলেন একই পুরোহিত।
২৫ বছর আগে স্বামী হরিহর মারা যান। সেই থেকেই একা হাতে সব সামলেছেন। মানুষ করেছেন দুই ছেলে ও এক মেয়েকে। গোটা পথটা তাঁকে সাহায্য করে এসেছেন তাঁর দেওর জগদীশ।
জীবনের শেষ ধাপটায় এসে যখন যাবতীয় জাগতিক দায়দায়িত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে, জগদীশের সঙ্গে এক ছাদের তলাতেই থাকতে চেয়েছিলেন বেলিদেবী। সন্তানরা হাসিমুখে মেনে নেন মায়ের ইচ্ছে। স্থির হয় মা-মেয়ে একই দিনে বিয়ের পিড়িতে বসবে। সেই অনুষ্ঠানই সাঙ্গ হল গত সপ্তাহে।
আরও পড়ুন: মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল ২০০০ বছরেরও পুরনো মুদ্রা!
গোরক্ষপুরে মুখ্যমন্ত্রী সামূহিক বিবাহ যোজনা প্রকল্পে একই দিনে বিয়ে সারেন তারা। বেলীদেবীর ছোট মেয়ে ইন্দু বিয়ে করলেন ২৯ বছর বয়সি রাহুলকে। ইন্দু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমার মা এবং কাকা ছোট থেকে আমাদের খেওয়াল রেখে আসছেন। বাবার অবর্তমানে কাকা তাঁর অভাব বুঝতে দেননি কখনও। আমরা আজ খুব খুশি।”
এদিকে চুল পেকেছে জগদীশবাবুর। বিয়ে থা করেননি। চাষবাষ করে উপার্জন করেন। নীরবেই দাদার পরিবারকে নিজের পরিবার বানিয়েছিলেন। আজ দায়িত্বের সঙ্গে যেন অধিকারটাও বর্তাল। তাঁর চোখে খুশির অশ্রু।
সুত্র: নিউজ ১৮ বাংলা