ঈশ্বর আমাদের ২০২১ সালটা মুক্তির স্বাদ দেবে: শুভেন্দু
পরিবর্তনের ডাক দিলেন স্বয়ং বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূল শিবির নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে একাধিক বড় নেতা তৃণমূলে বিদ্রোহ শুরু করায়।
এরমধ্যে শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম। বেশ কিছুদিন যাবত্ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল শিবিরের মুখোমুখি বিরোধিতা শুরু হয়েছে। অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে দলে রাখার কসুর করেনি তৃণমূল শিবির। তবে তাতে বিশেষ চিঁড়ে গলেনি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এই সভাতেই নাম না করে একের পর এক মোক্ষম আক্রমন করতে থাকেন শুভেন্দু। এবং তাঁর নিশানায় যে রাজ্যের শাসক দল সে কথা বুঝতে কারোরই অসুবিধা হয়নি।
এদিন শুভেন্দু স্পষ্ট জানান, মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা তিনি করেননি। তাই মানুষের ওপর যখনই কোন রকম অন্যায় হবে, অত্যাচার হবে, মানুষের কষ্ট হবে, উন্নয়ন হবেনা তখনই শুভেন্দু অধিকারী মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে হাজিরা দিলেন না মুখ্যসচিব- ডিজি
আর সেই সূত্রেই এবার শুভেন্দু নিজেই তৃণমূলের আগামী ভবিষ্যত্ পরিষ্কার করে দিলেন এবং বললেন ২০২১ এই হচ্ছে এই পরিবর্তন। তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২১… আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। আমরা ভগবানে বিশ্বাস করি। আমরা দেবীশক্তি-মাতৃশক্তিতে বিশ্বাস করি।
আশা করব, ঈশ্বর আমাদের ২০২১ সালটা খুব ভালো দেবে। মুক্তির স্বাদ দেবে। আনন্দের স্বাদ দেবে।’ ‘দাদার অনুগামী’-দের একাংশের দাবি, সেই মন্তব্যের পরদিনই সোমবার সকালে কাঁথির শান্তিকুঞ্জ থেকে বের হন।
বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে তাঁর গাড়ি বেরোতে দেখা যায় বলে একাংশের দাবি। তবে তাঁর গন্তব্য কোথায়, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুভেন্দুর সঙ্গে দলের বিচ্ছেদ এখন সময়ের অপেক্ষা।
দু’ পক্ষই তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট করতে শুরু করেছেন। শুভেন্দুর পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কী হয়, তা দেখার অপেক্ষায় গোটা রাজ্য রাজনীতি। আর শুভেন্দুর ধাক্কা শাসক দলও কীভাবে সামলায়, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তা দেখতেও আগ্রহী রাজ্যবাসী।
সুত্র: আজ বাংলা