ঝাড়গ্রাম: নেত্রী একজনই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া ব্যক্তির কোনও প্রভাব নেই। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে নাম না করে এ কথা বলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন ঝাড়গ্রাম শহরের অফিসার্স ক্লাবের মাঠে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ডাকা দলীয় জনসভার মূল বক্তা ছিলেন পার্থবাবু। জনসভার পরে শুভেন্দু প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে পার্থবাবু বলেন, ‘‘ব্যক্তির কোনও প্রভাব নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী।
তাঁর সংগ্রামের ইতিহাস আছে। জঙ্গলমহলের মানুষ তাঁকে চেনেন, জানেন। আমরা সকলে মিলে তাঁর সঙ্গে আছি। আমরা নিশ্চিত, জঙ্গলমহলের মানুষের আস্থা বজায় থাকবে।’’ সেই সঙ্গে শুভেন্দু বিজেপিতে যাবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তৃণমূলের মহাসচিব বলেন, ‘‘আমাদের দল ঐক্যবদ্ধ আছে।
আরও পড়ুন: পায়খানা থেকেও কাটমানি নিচ্ছে, তাই দরজা ছোট হয়ে গেছে : দিলীপ ঘোষ
রাজ্য জুড়ে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি, ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ হচ্ছে। আমরা জনসভা করে মানুষকে সংগঠিত করছি। তখন কেউ কেউ হয়তো অন্য কাজে ব্যস্ত আছেন।
আমি তা নিয়ে কী করে বলব?’’ শুভেন্দু রাজ্যের নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহার করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পার্থবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘কেউ যদি না ভরসা রাখে আমি কী করতে পারি। অনেকে সিকিউরিটি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁদের নিজেদের উপরে ভরসা আছে।
’’ শুভেন্দুর সঙ্গে ৬৫ জন বিধায়ক যোগ দিতে পারেন? এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে পার্থবাবুর জবাব, ‘‘এটা খবর তো, এটা তো বাস্তব নয়। যেদিন বাস্তব হবে সেদিন বলব। ভাগ্যিস ২২২ টা বলেননি।’’