রাজ্য

‘অমিত শাহকে খাওয়াতে হবে আমায়’: মমতা

'অমিত শাহকে খাওয়াতে হবে আমায়': মমতা

চোদ্দ সালে লোকসভা ভোটের পর পরই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। সে কথা মনে পড়ে! একদিকে নরেন্দ্র মোদী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নৈরাজ্যবাদী, উশৃঙ্খল বলে সমালোচনা করছেন।

বিপরীতে কেজরিওয়াল ধীর, স্থির। জনসভায় দাঁড়িয়ে শুধু বলে যাচ্ছেন, ‘সরকারে এলে বিদ্যুত্‍ মাশুল কমিয়ে দেব, জল কর কমিয়ে দেব, বেআইনি বস্তি স্বীকৃত করে দেব…’- ইত্যাদি ইত্যাদি।

মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠক দেখে অনেকেই মনে করছেন, লাইন পাল্টে ফেলেছেন দিদি। বিজেপি যখন তাঁর সরকার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে নেতি নেতি করছে, সেই তরজায় পা দিতে চাইছেন না তিনি।

অমিত শাহর উদ্দেশে কোনও রুক্ষ কটু কথাও এদিন বলেননি মমতা। বরং পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, উন্নয়নের তর্ক হোক। তাঁর কথায়, ‘আজকের বাংলা ঝকঝক তকতক করছে। তাই বুঝি ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এ সব কথা বলছেন।’

তার পর বেশ কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, দারিদ্র দূরীকরণে বাংলা এখন এক নম্বরে। একশো দিনের কাজ, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, গ্রামীণ আবাস, গ্রাম-সড়কের মতো যোজনাতেও ১ নম্বরে। সেই সঙ্গে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতির পরিসংখ্যান সামনে ফেলে বলেছেন, ‘সব তথ্য দিয়ে দিলাম, এজন্য অমিত শাহকে খাওয়াতে হবে আমায়।

ধোকলা খাওয়াতে হবে।’ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বসে মুখ্যমন্ত্রী যে বিরোধীদের রাজনৈতিক আক্রমণ করেন না, তা বলা যাবে না। গতকালই বলেছেন, ‘বিজেপি হল চিটিংবাজ পার্টি।’ কিন্তু সেই তুলনায় মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের অ্যাপিয়ারেন্সের ফারাক অনেকের মতে সাদা-কালোয় পরিষ্কার।

আরও পড়ুন: কাঁথিতে বিজেপি-র মিছিল ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা

তবে অনেকের কাছে কৌতূহলের বিষয় হল, এই ব্যাখ্যা কি সঠিক? কারণ তাঁদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেজাজটাই আসল রাজা। তিনি ভাল তো খুব ভাল। কিন্তু রেগে গেলে জনসভায় বক্তৃতার মধ্যে তুইতোকারিও করে ফেলেন। তাতে আসল কথা প্রচার না পেয়ে ওই কথাগুলোই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ায়।

সুতরাং উন্নয়নের তর্কে টিকে থাকতে হলে সংযমও জরুরি হবে। তৃণমূলের একাংশ নেতার মতে, সরকার যে ধরনের প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে বা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বিতরণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, নেতির তরজায় পা দিলে সেগুলো আর চোখেই পড়বে না।

সুতরাং বিজেপির নেতিবাচক আক্রমণের জবাব যদি দিতেই হয় তা সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষরা করুন। কিন্তু দিদি থাকুন উন্নয়নের তর্কে।

গত দশ বছর ধরে সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা তো কম নয়। একুশের ভোটে তাঁদের বড় অংশকে পাশে পেলেই ম্যাজিক সংখ্যা পেরিয়ে যাওয়া ফ্যাক্টর হবে না।

সুত্র: দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button