রাজনীতিরাজ্য

পাল্টা ১৯ জানুয়ারি খেজুরিতে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী

পাল্টা ১৯ জানুয়ারি খেজুরিতে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী - West Bengal News 24

সভা আর পাল্টা সভায় জমজমাট নন্দীগ্রামের মাটি। আগামী ১৮ জানুয়ারি সভা করবেন নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। তার পরের দিন পাল্টা খেজুরিতে সভা করবেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এক লাখের পাল্টা তিন লাখ! নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক সভায় কোন দল কত লোক সমাগম করতে পারে তা নিয়ে শুরু হয়েছিল লড়াই। নন্দীগ্রামের সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, শুক্রবার তাঁর জনসভায় জমায়েত হয়েছে এক লক্ষ বেশি মানুষ।

শুভেন্দুর এক লাখ জনতার সমাবেশকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান জানিয়েছেন, “আগামী ১৮ তারিখ তেখালিতে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর ওই সভায় তিন লাখ মানুষের সমাগম হবে। দেখিয়ে দেব সভা কাকে বলে।”

সুফিয়ান এদিন শুভেন্দুর সভাকে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, শুভেন্দুর সভায় লোক হয়নি। যারা এসেছেন তাদের অধিকাংশ বহিরাগত। ভিন জেলা থেকে এসেছেন। ১৮ তারিখ নন্দীগ্রামের সভায় স্থানীয়রা উপস্থিত থাকবেন।

প্রসঙ্গত গতকালই নন্দীগ্রামের তেখালিতে জনসভা করার কথা ছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু দলের নেতা কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় সেই সভা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।শুভেন্দুর সভা ঘিরে বিজেপির ত্রয়ী দিলীপ-মুকুল-কৈলাশ হাজির হয়েছিলেন নন্দীগ্রামে।

এই অবস্থায় বিজেপি’কে সুযোগ না দিতে চেয়ে, তৃণমুলের নজরে এবার নন্দীগ্রাম। নতুন বছরের তৃতীয় সপ্তাহেই তাই নন্দীগ্রামে সভা করতে চলেছেন তৃণমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: বঙ্গ জয় নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছে বিজেপি, তৃতীয় বারও মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা: চন্দ্রিমা

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমুল সূত্রে জানানো হয়েছে আগামী ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালিতে তিনি সভা করবেন। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, সদ্য তৃণমুল ছেড়ে বিজেপি’তে গেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ছেড়েছেন বিধায়ক পদ।

নন্দীগ্রামের বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলে সেই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, দু’সপ্তাহ আগেই শুভেন্দুর গড়ে সভা করেছে তৃণমুল কংগ্রেস। সেখানে একাধিক নেতা দাবি করেছেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলন ছিল স্থানীয়দের।

মমতা বন্দোপাধ্যায় সেই আন্দোলনে যোগ দিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার জেরে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে সৌগত রায় বলেছেন, “মমতা না থাকলে নন্দীগ্রাম আন্দোলন হত না। নন্দীগ্রাম আন্দোলন সুফিয়ানের মতো স্থানীয় নেতারা করেছেন।

কোনও সরস্বতীর বরপুত্র এসে সুন্দর দেখতে মানুষ এসে আন্দোলন করেননি।” এখন সেই আন্দোলন ভূমিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেন সে দিকেই চেয়ে রাজনৈতিক মহল।

বিজেপির তিন শীর্ষ নেতা অবশ্য নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জন্যে কৃতিত্ব দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারীকেই। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “বড় চাণক্য মুকুল রায় ও ছোট চাণক্য শুভেন্দু অধিকারী একসাথে নন্দীগ্রাম আন্দোলন করেছেন। ওনারাই ফের নন্দীগ্রামে পরিবর্তন আনবেন।”

তবে তৃণমূল নেতারা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেছেন নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে জমায়েত করার সাহস ও দম দুটোই তাদের আছে। ফলে এক লাখি বনাম তিন লাখি সভা ঘিরে জমজমাট নন্দীগ্রামের মাটি। আগামী ১৮ ও ১৯ দুই হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় নন্দীগ্রাম।

 

সুত্র: নিউজ ১৮ বাংলা

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button