ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় ২দিনের সফরে নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন মমতা
এই নন্দীগ্রাম ধরেই বাংলার মসনদে বসেছিলেন বাংলার আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ এর নির্বাচনের আগে ফের একবার সরগরম নন্দীগ্রাম। আবারও সেই মমতা। তবে এবার প্রতিপক্ষ অন্য। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর পাখির চোখ নন্দীগ্রাম। সেখান থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি, নিজের মুখেই একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার বিপক্ষকে চাপে ফেলে ফেব্রুয়ারিতে ফের একবার নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিনের সফরে নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, জনসংযোগ কর্মসূচীতে অংশ নিতেই নন্দীগ্রামে হাজির হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলতি সপ্তাহেই নন্দীগ্রাম থেকেই বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে সেখানে মাঠে নেমে পড়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূল সুপ্রিমোর নামে দেওয়াল লিখল শুরু হয়ে গেল। নন্দীগ্রামের কেন্দেমারি এলাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু কেন্দেমারি নয়, নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তৎপরতার সঙ্গে চলছে কাজ।
আরও পড়ুন : রাজ্য সরকারের উৎসবে বিজেপি সাংসদ!
গত কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি জানিয়েছেন, “মাননীয়াকে নন্দীগ্রামে কম করে ৫০ হাজার ভোটে হারাব। নাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
যদিও ধারেভারে এগিয়ে থাকা মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের। কারণ এই সিঙ্গুর থেকেই যে জমি রক্ষার লড়াই কার্যত সারা ভারতে সাড়া ফেলেছিল, সেই সিঙ্গুরে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে থাকবেন, তা বলার অপেক্ষা থাকে না।
অন্যদিকে এখন ভোট হলে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এবিপি ও সি ভোটারের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। তবে তৃণমূলের আসন সংখ্যা এবার কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২১-এ তৃণমূল পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬২টি আসন। সি ভোটারের সমীক্ষা বলছে, বিজেপির উত্থান ঘটতে চলেছে বাংলায়। তৃণমূলকে হারাতে সম্ভবপর না হলেও প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির উত্থানই দেখা হচ্ছে।
সূত্র: কলকাতা২৪x৭