‘আমি কবে থেকেই স্বাধীন, কেবল তোমাদেরই চোখে পড়েনি’, : মিমি চক্রবর্তী
জনপ্রিয়তা এক দিনে ধরা দেয়নি। রাজনীতিতেও রাতারাতি পোক্ত হয়ে ওঠেননি। পিছনে রয়ে গিয়েছে প্রচুর ত্যাগ, পরিশ্রম। হয়তো অনেক যন্ত্রণা, আড়ালে ফেলা চোখের জল। তবুও যা করেছেন, স্বাধীন ভাবেই করেছেন। তাঁর মন যা বলেছে, সাড়া দিয়েছেন তাতে। এই কারণেই ‘পড়তে যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে পালাতেও পেরেছেন। নিজের বিশ্বাসে ভর করে শিলিগুড়ি থেকে চলে আসতে পেরেছেন কলকাতায়। অভিনয়ের টানে। তার পর? নারী দিবসে মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) নিজের জীবনের সেই অজানা গল্প তুলে ধরলেন তাঁর ইনস্টাগ্রামে। বললেন বাকি নারীদের কথাও।
সমাজমাধ্যমে দিন কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন, বিশেষ দিন নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চলেছেন সাংসদ-তারকা। জীবনের কোন রহস্য অবশেষে সামনে আনলেন? ২১ শতকেও নারী স্বাধীনতা যখন সোনার পাথরবাটি তখন মিমির দাবি, ‘কবে থেকেই আমি স্বাধীন, কেবল তোমাদেরই চোখে পড়েনি’। অভিনেত্রীর দাবি, মেয়েদের জন্য আজও যেন এই একটি দিন বরাদ্দ। ৩৬৪ দিন এখনও পুরুষদের কব্জায়।
আরও পড়ুন : সায়নীর সিনেমা ‘সহবাসে’ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত (ভিডিও)
তাই এই বিশেষ দিনটি এলে নারীদের উদ্দেশে সবাইকে তিনি বলতে শোনেন, ‘ঢেউয়ের মতো, বাতাসের মতো অবাধ হতে’। তার পরেই সামনে এনেছেন রূঢ় বাস্তব, ‘বলেছ যেমন ইচ্ছে স্বপ্ন দেখতে। কিন্তু এক টুকরো ঘুম উপহার দিয়েছ কি? বলেছ ডানা মেলতে যেদিকে খুশি। কিন্তু ভাগ দাওনি আকাশের’। তাঁর দাবি, ‘বলেছ দশদিগন্ত সপ্তসিন্ধু পেরিয়ে যেতে। কিন্তু পায়ে কাঁটা ফুটলে এগিয়ে আসনি। বলেছ, কেবল বলেইছ। হাত বাড়াওনি কখনও’।
সবকিছুর উর্ধ্বে অভিনেত্রী বাস্তবকে স্বীকার করে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আর যখন এসব তুচ্ছ করে ছুঁয়েছি শিখর, পেয়েছি নতুন পালক; যখন মুঠোয় ভরেছি মেঘ আর জিতে নিয়েছি জীবনের বাজি; তুমি কি সত্যি খুশি হতে পেরেছ? মন থেকে?’ সাফল্যে সামিল হতে তিনি ডাক পাঠিয়েছেন সমাজকে। পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি নারী, অর্ধেক আকাশ। সবটুকু পারি, পেরে যাব। শুধু বল, তোমরা কি সঙ্গী হবে, এই সফরের?’
View this post on Instagram
মিমির বাক্যবাণে লুকিয়ে রয়েছে নারী দিবসের আসল তাৎপর্য। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন এভাবেই যুগে যুগে নারীরা পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, তাঁদের ডাক পাঠিয়েছেন সফরসঙ্গী হওয়ার।