আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ায় পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে গোলাগুলি, নিহত ১

ইন্দোনেশিয়ায় পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে গোলাগুলি, নিহত ১ - West Bengal News 24

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় কেন্দ্রীয় পুলিশ সদরদপ্তরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছেন অপরিচিত এক নারী। পরে পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হন তিনি।

আলজাজিরা জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি সন্ত্রাসী হামলা বলে ধারণা করছে প্রশাসন। এ হামলায় আর কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বুধবার স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, আপাদমস্তক কালো বোরকা ও নীল রঙের নেকাবে মুখ ঢাকা অজ্ঞাতনামা এক নারী পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের দিকে হাঁটছেন। হঠাৎ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন। তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

আরো পড়ুন : ব্রাজিলে সব রেকর্ড ভেঙে একদিনে ৩৭৮০ মৃত্যু

এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হন তিনি। মরদেহটি সেখানেই অনেকটা সময় ধরে পাহারা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

এ নিয়ে এক সপ্তাহে দ্বিতীয় হামলা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে। গত রোববার সুলাভেসি দ্বীপের মাকাসসার শহরে একটি ক্যাথলিক গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এতে সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী নিহত এবং ২০ জন আহত হন।

তদন্তে জানা গেছে, এক দম্পতি ‘প্রেশার কুকার বোমা’ ব্যবহার করেন ওই হামলায়।

এ ঘটনার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে লক্ষ্য করে আরও হামলার আশঙ্কায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করে ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ; জোরদার করে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানও।

যদিও এসব হামলায় কারা জড়িত, তা এখনও অস্পষ্ট। রোববারের হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস সমর্থিত জামাহ আনশারুত দাউলাহকে দায়ী করেছিল পুলিশ। গোষ্ঠীটি আরও হামলা চালাতে পারে বলে আভাসও দিয়েছিল।

২০১৮ সালে বন্দরনগরী সুরাবায়ার একাধিক গির্জা ও নগর পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে সমন্বিত হামলায় প্রাণ যায় অনেকের। ওই ঘটনায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের ইন্দোনেশীয় শাখা জামাহ আনশারুত দাউলাহকে দায়ী করেছিল পুলিশ।

তবে দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয় ২০০২ সালে পর্যটন দ্বীপ বালিতে। বিদেশি নাগরিকসহ দুই শতাধিক মানুষ নিহত হন ওই হামলায়। জঙ্গিসংগঠন জামাহ ইসলামিয়ার ওই হামলার পর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করে সরকার, যা চলছে এখনও।

আরও পড়ুন ::

Back to top button