ভারতে মোট টিকাকরণ ১২ কোটি ছাড়িয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ২৬ লক্ষের বেশি টিকার ডোজ
বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এপর্যন্ত দেশে ১২ কোটির বেশি কোভিড-১৯ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আজ সকাল সাতটা পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ১২ কোটি ২৬ লক্ষ ২২ হাজার ৫৯০টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৯১ লক্ষ ২৮ হাজার ১৪৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রথম ডোজ এবং ৫৭ লক্ষ ৮ হাজার ২২৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। অন্যদিকে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রভাগে থাকা ১ কোটি ১২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪১৫ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ এবং ৫৫ লক্ষ ১০ হাজার ২৩৮ জন সুফলভোগী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। এছাড়াও ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫২২ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ এবং ৩৮ লক্ষ ৯১ হাজার ২৯৪ জন সুফলভোগী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। একই ভাবে ৪৫-৬০ বছর বয়সী ৪ কোটি ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৯৩ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ এবং ১০ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৫৯ জন সুফলভোগী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
দেশে এখনও পর্যন্ত মোট টিকাকরণের ৫৯.৫ শতাংশই হয়েছে ৮টি রাজ্যে। এরমধ্যে গুজরাটে ১ কোটি ৩ লক্ষ ৩৭ হাজারের বেশি, মহারাষ্ট্রে ১ কোটি ২১ লক্ষ ৩৯ হাজারের বেশি, রাজস্থানে ১ কোটি ৬ লক্ষ ৯৮ হাজারের বেশি এবং উত্তরপ্রদেশে ১ কোটি ৭ লক্ষ ১২ হাজারের বেশি টিকাকরণ হয়েছে। গুজরাটে ১ কোটি টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে গত ১৬ এপ্রিল। অন্যদিকে, বাকি ৩টি রাজ্যে ১কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে গত ১৪ এপ্রিল।
ভারতে ১২ কোটি টিকাকরণের সময় লেগেছে ৯২ দিন, যা টিকাকরণের দিক থেকে বিশ্বে দ্রুততম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১২ কোটি টিকাকরণে সময় লেগেছে ৯৭ দিন এবং চিনে ১০৮দিন।
আরও পড়ুন : বঙ্গে প্রচার বন্ধ করে যে বার্তা দিলেন Rahul Gandhi
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ২৬ লক্ষের বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। দেশ ব্যাপী টিকাকরণ অভিযানের ৯২ তম দিনে (১৭ এপ্রিল) ২৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৫৬টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২০ লক্ষ ২২ হাজার ৫৯৯ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ এবং ৬ লক্ষ ৬২ হাজার ৩৫৭ জন সুফলভোগী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
দেশে দৈনিক ভিত্তিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬১ হাজার ৫০০ জন। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, চণ্ডীগড়, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, কেরালা, গুজরাট, তামিলনাড়ু ও রাজস্থান সহ ১০টি রাজ্য নতুন করে আক্রান্তের হার ৭৮.৫৬ শতাংশ। কেবল মহারাষ্ট্রেই একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বাধিক ৬৭,১২৩ জন। উত্তরপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭,৩৩৪। অন্যদিকে, দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা একদিনেই ২৪,৩৭৫। দেশে ১৬টি রাজ্যে দৈনিক ভিত্তিতে কোভিডে আক্রান্তের রেখাচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। এই রেখাচিত্র অনুযায়ী গত ১২ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.৬৯ শতাংশ।
জাতীয় স্তরে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে গত একমাসে আক্রান্তের হার ৩.০৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩.৫৪ শতাংশ। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে আক্রান্তের হারের দিক থেকে চণ্ডীগড়ে সর্বাধিক ৩০.৩৮ শতাংশরে নিরিখে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
দেশে সুস্পষ্টভাবে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ লক্ষ ১ হাজার ৩১৬, যা মোট আক্রান্তের ১২.১৮ শতাংশ। অবশ্য গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্পষ্ট ভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২১ হাজার ৫৭৬টি কমেছে। ৫টি রাজ্যে – মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং কেরালায় দেশে মোট আক্রান্তের ৬৫.০২ শতাংশই রয়েছে। কেবল মহারাষ্ট্রেই সুস্পষ্ট ভাবে করোনায় আক্রান্তের হার ৩৮.০৯ শতাংশ।
দেশে আজ কোভিড সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৮ লক্ষ ৯ হাজার ৬৪৩। জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার ৮৬.৬২ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় আরোগ্যলাভ করেছেন ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪২৩ জন। একই ভাবে আলোচ্য সময়ে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ১,৫০১ জনের। ১০টি রাজ্যে মৃত্যু হার ৮২.৯৪ শতাংশ। কেবল মহারাষ্ট্রেই মারা গেছেন ৪১৯ জন। অন্যদিকে, দিল্লিত একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ১৬৭ জনের।
দেশে ৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যুর খবর নেই। এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে – মেঘালয়, ত্রিপুরা, সিকিম, মিজোরাম, মণিপুর, লাক্ষ্মাদ্বীপ, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলপ্রদেশ প্রভৃতি।