খেলা

ভারতের কোভিড-১৯ মোকাবিলার লড়াইয়ে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ডোনেট এই বিখ্যাত বোলারের

ভারতের কোভিড-১৯ মোকাবিলার লড়াইয়ে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ডোনেট এই বিখ্যাত বোলারের - West Bengal News 24
প্যাট কামিন্স

করোনা অতিমারীর সময়ে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ডোনেট করলেন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার এই ফাস্ট বোলার কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে নিজস্ব অবদানের পাশাপাশি ২০২১ এর আইপিএলে সতীর্থদের, ফ্যানদেরও আবেদন করলেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।

ট্যুইটারে নিজে বিবৃতি দিয়ে কামিন্স লিখেছেন, তিনি যে অর্থ দিয়েছেন, তা যথেষ্ট না হলেও কারও না কারও সাহায্যে তো লাগবে!

২২ গজে আগুন ঝরানো ফাস্ট বোলারকে ২০২০র নিলামে ১৫ কোটি টাকায় কিনেছিল কেকেআর। সেই তিনি বলছেন, আবেগ, অনুভবকে অন্যদের সাহায্য করায় কাজে পরিণত করতে হবে। ভারত এমন এক দেশ বছরের পর বছর আসতে আসতে যাকে দারুণ ভালবেসে ফেলেছি।

এখানকার মানুষজনও উষ্ণতায় ভরা, দয়াবান। এই সময়ে এত মানুষ কষ্টে রয়েছেন জেনে আমিও গভীর ভাবে ব্যথিত। কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বেশি থাকায় আইপিএল আর চলা উচিত কিনা,তা নিয়েও অনেক আলোচনা শুনছি।

আমি শুনেছি, ভারত সরকার মনে করছে, দেশবাসী যখন লকডাউন পর্ব কাটাচ্ছেন, কঠিন সময় পেরচ্ছেন, সেসময় আইপিএল তাদের কয়েক ঘন্টার বিনোদন, রেহাই দিচ্ছে।

তিন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জাম্পা, কেন রিচার্ডসন ব্যক্তিগত কারণ, বায়ো-বাবলে থাকার ক্লান্তি, অবসাদের প্রসঙ্গ তুলে দেশে ফিরে গিয়েছেন।

তখন ব্যতিক্রমী মানসিকতা দেখালেন কামিন্স। বললেন, আমার আইপিএলের সহ ক্রিকেটার, এমনকী বিশ্বের অন্য যে কেউ, যিনিই ভারতের আবেগ, উদারতার ছোঁয়ায় মুগ্ধ হয়েছেন, তাঁদের সাহায্য করতে বলব।

আমি ৫০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়ে সূচনা করলেন। এখনকার মতো সময়ে সহজেই নিজেকে অসহায় মনে হয়। আমিও সম্প্রতি এটা অনুভব করেছি। কিন্তু আশা করি, সবাইকে আবেদন করে আমরা নিজেদের অনুভূতিকে কাজে পরিণত করতে পারি যে মানুষের জীবনে আলো ছড়াতে পারে।

এদিকে কামিন্সের দেশের সরকারও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতকে অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, পিপিই সামগ্রী পাঠাচ্ছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের সহায়তা প্রকল্পের আওতায় এসব পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট। বলেছেন, আক্ষরিক অর্থেই অক্সিজেনের অভাবে হাঁফাচ্ছে ভারত।

তবে এখনই ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। হান্ট আরও বলেছেন, আমরা ওই ফ্রন্টে দারুণ ভাল জায়গায় রয়েছি। আমাদের এখন তার দরকারও নেই। আমরা মজুত করে রাখব। যদি সাহায্যের দরকার হয়, ডোনেট করব।

সুত্র: দ্যা ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button