করোনা পরিস্থিতি ঠেকাতে সেনাবাহিনী নামাচ্ছে ভারত সরকার
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে টানা সপ্তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা পার করেছে দুই হাজার। এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু যখন বেড়েই চলেছে, তখন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে সহায়তার জন্য ডাকা হয়েছে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন দেশটির চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়ান। এরপরই সেনাপ্রধান তার বাহিনীর প্রতি এই নির্দেশনা দেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স’র প্রতিবেদনে বলা হয়, নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কম হলেও গতকাল সোমবার দেশে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২৩ হাজার ১৪৪ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৭৭১ জন।
হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েই চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে। রাজধানী নয়াদিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশির ভাগ হাসপাতালে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
এমন পরিস্থিতে ভারতে গত দুই বছরে অবসর নেওয়া সশস্ত্র বাহিনীর চিকিৎসকদেরও কাজে ফেরানো হচ্ছে। তাদের বাড়ির কাছে থাকা করোনা সেন্টারে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর অবসর নেওয়া নার্সিং স্টাফদেরও করোনা যুদ্ধের মাঠে নামতে বলা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস’র প্রতিবেদন অনুযায়ী পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির মুখে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রাত্রিকালীন কারফিউসহ বিভিন্ন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। পাশাপাশি দেশটির হাসপাতালগুলোতে সেনবাহিনীর সদস্যদের সাহায্য করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর জন্য মজুত করা অক্সিজেন হাসপাতালগুলোতে সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।