জাতীয়

কোভিড সামগ্রীর উপর জিএসটি কমানো যাবে না,জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী

কোভিড সামগ্রীর উপর জিএসটি কমানো যাবে না,জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী - West Bengal News 24

করোনা আবহে অক্সিজেন ও অন্যান্য চিকিত্‍সা সামগ্রীর উপর কর ছাড়ের আবেদন জানিয়ে আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার তার উত্তর এল। তবে নরেন্দ্র মোদী নিজে উত্তর দেননি।

মমতার চিঠির উত্তর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন। এদিন বিকেলে পর পর ১৬টি টুইট করেছেন নির্মলা। তাতেই বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়েছেন কেন কর মকুব করা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, সরকার যদি জিএসটি মকুব করে তবে চিকিত্‍সা সামগ্রীর দাম আরও বাড়িয়ে দেবে উত্‍পাদক সংস্থা। তাতে আদতে মুশকিলে পড়বেন সাধারণ মানুষই। ভ্যাকসিনের উপর ৫ শতাংশ এবং ওষুধপত্র ও অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের উপর ১২ শতাংশ কর নেয় কেন্দ্র সরকার।

এদিন নির্মলা বলেছেন এই কর আদতে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখছে। কর উঠে গেলে দাম হবে লাগামছাড়া। তাঁর কথায়, ‘৫% জিএসটি নিশ্চিত করে যে উত্‍পাদক সংস্থা আইটিসি (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট) কাজে লাগাতে পারছে। আইটিসি বেশি হয়ে গেলে রিফান্ড দাবি করতে পারে তারা। তাই ভ্যাকসিন থেকে জিএসটি উঠিয়ে নিলে হিতে বিপরীত হবে। সাধারণ মানুষের কোনও লাভ তাতে হবে না।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, কোভিডে ব্যবহৃত ওষুধ এবং অন্যান্য সামগ্রীর উপর থেকে ইতিমধ্যে আমদানি কর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইজিএসটি করের ৭০ শতাংশ যে রাজ্য পায়, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবারের চিঠিতে লিখেছিলেন আমরা সবাই চেষ্টা করছি পরিস্থিতি মোকাবিলার। কিন্তু চাহিদার তুলনায় অক্সিজেন, প্রয়জনীয় ওষুধ ইত্যাদির জোগানের বিস্তর ফারাক রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে এও লিখেছেন বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ব্যক্তি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ট্যাংক, কোভিড সংক্রান্ত ওষুধ দান করতে চাইছেন। কিন্ত জোগানের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। মমতা এও লিখেছিলেন, বহু দাতা রাজ্যের কাছে কর মুকুবের আবেদন করেছেন। কিন্ত এই কর মুকুবের বিষয়টি রাজ্যের এক্তিয়ারাধীন নয়। তাই এই চিঠি লিখতে হচ্ছে।

এমনিতেই গত কয়েক মাসে চড়চড় করে ওষুধের দাম বেড়েছে। অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে যা মানুষের অবস্থাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে বলেই দাবি অনেকের। এদিন সেই চিঠির জবাব টুইটে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

সুত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button