মুর্শিদাবাদ

নাবালিকাকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ! ঘটনায় গ্রেফতার ৩

নাবালিকাকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ! ঘটনায় গ্রেফতার ৩ - West Bengal News 24

ফুলের কুঁড়ি। সবে শরীরে এসেছে যৌবনের হিল্লোল। ঠিক ভাবে ফুটে ওঠার আগেই পড়ে গেল ঝড়ের মুখে। খসে পড়ে না গেলেও সে ফুল আর টাটকা তাজা রইল না। ম্রিয়মাণ হয়ে তা রয়ে গেলে সমাজের বুকে। জীবনে কচি বয়সেই পড়ে গেল পুরুষের লালসার ছাপ। শরীরময় কামড় আর ক্ষতবিক্ষত যোনি। সারা জীবন তা নিয়েই বয়ে বেড়াতে হবে। রাস্তায় বার হলেই লোকে অদ্ভূত ভাবে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে। কেউ হাসবে, কেউ মাপবে। কেউ কেউ দুটো কথাও শুনিয়ে দেবে। আবার কেউ বা দুচোখ দিয়ে গিলে খাবে। অপরাধ না করেও সমাজের চোখে অপরাধী হয়েই হয়তো বেঁচে থাকতে হবে। গণধর্ষণের শিকার নাবালিকার এখন সেই দশাই। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ জেলা।

অপরাধীদের খিদে পেয়েছিল। শরীরের। ভর সন্ধ্যায় ফাঁকা মাঠে দুই কিশোরীকে হেঁটে আসতে দেখেই তাই ঝাঁপিয়ে পড়তে বেশি দেরী করেনি। এক নাবালিকা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও এক কিশোরী ধরা পড়ে যায় তাঁদের হাতে। এরপর বেশি দেরী করেনি অপরাধীরা। ৩জনে মিলে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে চলে যায় পাশের জঙ্গলে। সেখানেই তাঁকে নগ্ন করে তিনজনে মিলে গণধর্ষণ করে। অকালেই যোনি ভেদের যন্ত্রণায় কার্যত চেতনা হারায় ওই কিশোরী। তবুও মেলেনি রেহাই। ৩ যুবক উপর্যপরি তাঁকে ধর্ষণ করে ৩-৪ ঘন্টা ধরে।

রাত নামতেই জঙ্গলে কিশোরীকে ফেলে পালায় তাঁরা। রবি সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম থানার অমৃতকুণ্ডু গ্রামের কাছে জঙ্গলে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময়ে নির্যাতিতা ও তাঁর এক বান্ধিবী মামার বাড়ি থেক্লে নিজেদের গ্রামে ফিরছিল। যে নাবালিকা পালাতে সক্ষম হয়েছিল সেই গ্রামে গিয়ে খবর দেয়। গ্রামের লোকেরা ও নির্যাতিতার বাবা ও কাকা রাতেই জঙ্গলে ওই নির্যাতিতাকে খুঁজতে বার হয়। রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা জঙ্গলের মধ্যে নগ্ন অবস্থায় তাঁকে খুঁজে পায়।

মেয়েটিকে রাতেই নবগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এদিন সকালেই তাঁকে বহরমপুরে এনে ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। গতকাল রাতেই এই ঘটনার খবর গিয়েছিল নবগ্রাম থানার পুলিশের কানে। তার জেরে রাতেই দায়ের হয় অভিযোগ। পুলিশ এদিন সকালেই এলাকা থেকে সন্দেহজনক ৩ দুষ্কৃতীকে আটক করে। তাঁরা পুলিশের কাছে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তারপরেই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে ও তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইন-সহ বেশ কিছু ধারায় মামলা দায়ের করে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার।

সূত্র:এই মু্হুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button