কলকাতা

কলকাতা পুলিশ ও কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রচেষ্টায় এড়ানো গেলো বড় বিপদ, বাঁচলেন ৭২জন রোগী

oxygen crisis in kolkata : কলকাতা পুলিশ ও কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রচেষ্টায় এড়ানো গেলো বড় বিপদ, বাঁচলেন ৭২জন রোগী - West Bengal News 24

হাসপাতালে আরও মাত্র আধ ঘণ্টা বা ১ ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে। অক্সিজেন না পৌঁছলে প্রাণ যাবে অনেক কোভিড রোগীর। সতর্কবার্তা পেয়েই পুলিশ, প্রশাসন সব কাজ ফেলে অক্সিজেন জোগাড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত এটা ছিল দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ,মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের ছবি। কলকাতাতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। গড়িয়ার রেমেডি হাসপাতালে মাত্র আড়াই ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল।

দ্রুত ব্যবস্থা না করা গেলে রোগীদের প্রাণ বাঁচানো নিয়ে তীব্র সংশয়ে ছিলেন কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক, পুলিশ ও কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রচেষ্টায় বড় বিপদ এড়ানো যায়। প্রাণ রক্ষা হয় ৭৩ জন কোভিড রোগীর।

হাওড়ার ডোমজুড়ে রিফিল স্টেশনে টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে সিলিন্ডার আসতে দেরি হয় রেমিডি হাসপাতালে। আর তার পরই সতর্কবার্তা পাঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা হাসপাতালের এক চিকিৎসক অসহায় অবস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি কেঁদে ফেলেন।

কলকাতা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, রাত ৯টা ২০ নাগাদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র রেমেডি হাসপাতালের পরিস্থিতি সম্পর্কে ফোন পান। সবাইকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন তিনি। কলকাতা পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ৯টি সিলিন্ডার পেয়ে যায়। বারুইপুরের এসডিও লিন্ডের কাছ থেকে ৪০টি বি টাইপ সিলিন্ডার জোগাড় করে। পরে বারুইপুর হাসপাতাল থেকে ১৩টি ও এমআর বাঙুর হাসপাতাল থেকে ১০টি সিলিন্ডার জোগাড় করা হয়।

রাত ১১টার মধ্যেই ৭২টি সিলিন্ডার পৌঁছে যায় ওই হাসপাতালে। কয়েক মিনিট দেরি হলে রোগীদের জীবন সংশয় দেখা দিত। সমস্যা মেটার পর রাত সাড়ে ৩টের দিকে ডোমজুড় থেকে ৭২টি সিলিন্ডার হাসপাতালে পৌঁছায়, যেগুলি যাওয়ার কথা ছিল।

সূত্র : সংবাদ সংস্থা

আরও পড়ুন ::

Back to top button