আদিবাসী মহিলাকে লাঞ্ছনার অভিযোগ পুলিশ অফিসাররের বিরুদ্ধে
সকাল থেকেই দুর্গাপুর থানার বাইরে বিক্ষোভ। কমলপুরের আদিবাসী গোষ্ঠী তাঁদের আরাধ্য দেবতা মারাংবুরুর নাম নিয়ে সমস্বরে দোষীর বিচার চাইছেন। সূত্রের খবর, দুর্গাপুর থানার পুলিশ অফিসার উত্তম সাউয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গতকাল রাতে তিনি নাকি একজন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। তারই প্রতিবাদে আদিবাসীরা থানা ঘেরাও করে অফিসারের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, জমি সংক্রান্ত মামলাকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার রাতে অশান্তি শুরু হয়। কাঁকসা ব্লকের আদিবাসী সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা সুরেন মূর্মূ বলেছেন, কমলপুর গ্রামের বাসিন্দা ভরত মাজির সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশীর জমি সংক্রান্ত বিবাদ দীর্ঘদিনের। তার জেরেই দুটো বাড়ির মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি হয়। ভরত মাজির অভিযোগ, প্রশাসনিক দফতরে ঘুরে মামলা নিস্পত্তির আবেদন করলেও কোনও সাহায্য মেলেনি। উল্টে গতকাল রাতে ভরতবাবুর অবর্তমানে তাঁর স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন পুলিশ অফিসার। তাঁর এও অভিযোগ, আদিবাসী সমাজ নিয়ে কটু মন্তব্যও করেছেন পুলিশ কর্তা।
অন্যদিকে, ভরত মাজির স্ত্রী অনিমা জানান, জলনিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতিবেশীর সমস্যা দীর্ঘদিনের। প্রতিবেশীর নর্দমার জল চুঁইয়ে এসে তাঁদের মাটির দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবু তিনি কিছুই বলেননি। এর পরেও ওই পুলিশ অফিসার তাঁকেই অপমান করেন বলে অভিযোগ করেছেন অনিমা।
অভিযোগকারিনীর দাবি, বাড়িতে স্বামী বা ছেলে কাউকে না পেয়ে তাঁকেই হেনস্থা করে যান পুলিশ অফিসার। বলেন, আদিবাসী বলে পার পাবেন না অনিমারা। এছাড়াও নানা শাসানিমূলক কথাবার্তাও বলেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তাল হয় কমলপুর। ক্ষোভে ফেটে পড়ে দুর্গাপুরের আদিবাসী সংগঠন। তাঁদের দাবি, ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে ওই অফিসারকে গ্রেফতার করতে হবে। গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চলবে।
সুত্র : দ্য ওয়াল