রাজ্য

‘অভিষেক বিজেপিতে এলে আমি তৃণমূলে যাব’: সৌমিত্র খাঁ’

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়

‘অভিষেক বিজেপিতে এলে আমি তৃণমূলে যাব’: সৌমিত্র খাঁ’ - West Bengal News 24

তাঁর পদ খোয়া গিয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)উত্থানে। তাঁকে সরিয়ে অভিষেককে তৃণমূল যুবার দায়িত্বে বসানো হয়। সেই ক্ষোভ সম্ভবত এখনও ভুলতে পারেননি বিজেপি যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। একুশের বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির আশানুরূপ ফলাফল না হওয়ায় সম্প্রতি তাঁর গতিবিধিও বিশেষ ভাল ঠেকছিল না।

দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বৈঠক এড়িয়ে দলের আরেক নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাত্‍ – এ সবই জল্পনা উসকে দিচ্ছিল, তিনি বোধহয় গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুলের দিকে পা বাড়িয়ে রাখছেন। কিন্তু সেসব গুঞ্জন সরাসরি উড়িয়ে দিয়ে সৌমিত্র খাঁ কার্যত নিজের শর্তের কথাই জানালেন স্পষ্টভাবে। বললেন, ‘যেদিন অভিষেক আসবে বিজেপিতে, সেদিন আমি যাব তৃণমূলে।’

একুশের ভোটে ফলপ্রকাশের পর একাধিক ইস্যুতে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির (BJP) কার্যালয়ে হেস্টিংস অফিসে সাংগঠনিক বৈঠকে বসেছেন গেরুয়া শিবিরের কর্মকর্তারা। যার মধ্যে গুরুত্বপূ্র্ণ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস, রাজনৈতিক অশান্তিতে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাকা আগের বৈঠকটি এড়িয়ে গেলেও এদিনের বৈঠকে সময়মতই হাজির হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। তার আগে তাঁর দলবদলের জল্পনা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই অতি সংক্ষিপ্তভাবে নিজের কথা জানান।

বলেন যে তৃণমূলের (TMC)সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিজেপিতে যোগ দেবেন, সেদিন তিনিও তৃণমূলে যাবেন। অর্থাত্‍ এই তুলনা টেনে তিনি একদিকে যেমন প্রায় অসম্ভব একটা বিষয়ের ইঙ্গিত দিলেন, তেমনই বুঝিয়ে দিলেন, অভিষেকই তাঁর প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।

তাত্‍পর্যপূর্ণভাবে এদিন হেস্টিংসের বৈঠকে উপস্থিত নেই দলবদলকারী, পরাজিত প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রবীর ঘোষাল। এ নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। চিন্তায় বিজেপি নেতারাও। অন্যদিকে, অসুস্থ মুকুল রায় বৈঠকে সশরীরে না এলেও, ভারচুয়ালি এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাকে দেশজুড়ে ইস্যু করার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই নিয়েছে গেরুয়া শিবির।

রাজ্যে কীভাবে তার প্রতিবাদ চলবে, তা এই বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। দলে ‘বেসুরো’দের বিষয়টি ও সংগঠনের অবস্থা নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা। শাসক দলকে চাপে রাখতে আগামী দিনে বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়ার ভাবনা রয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের।

সুত্র : সংবাদ প্রতিদিন

আরও পড়ুন ::

Back to top button