অভিযোগ প্রমাণ হলে ১৪ বছরের জেল হতে পারে সু চির
আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাচ্ছে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির বিচার। সোমবার (৭ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে সুচির ১৪ বছরের জেল হতে পারে। খবর- আলজাজিরা ও সিএনএ।
গেল পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে জান্তা সরকার। বন্দি করা হয় দেশটির নেত্রী অং সান সুচিসহ তার দলের শীর্ষ নেতাদের। এরপর সুচির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে মামলা করে সামরিক সরকার। কয়েকমাস পর সেই মামলার বিচার কাজ শুরু হচ্ছে। সোমবার রাজধানী নাইপিদোতে গৃহবন্দি সুচির সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার আইনজীবী খিন মং জাও বলেন, আগামী ১৪ ও ১৫ জুন তার বিরুদ্ধে আনিত সব মামলার বিচার কাজ শুরু হবে।
খিন মং জাও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ চলতি মাসেই মামলাটি শেষ করতে চায়। আমাদের পক্ষ থেকেও দ্রুতই মামলা শেষ করতে বলা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতি সোমবার ও মঙ্গলবার করে বিচারকাজ চলবে। সুচির বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ভঙ্গের গুরতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ঘুষ গ্রহণের অভিযোগেও মামলা করা হয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৭৫ বছর বয়সী সুচিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।
এদিকে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার হাতে সব রাজবন্দিদের দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের রাষ্ট্রদূতরা। মিয়ানমার সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আহ্বান জানানো হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ করছে গণতন্ত্রপন্থিরা। চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮শ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। বন্দি করা হয়েছে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে।