জাতীয়

উত্তরপ্রদেশে অশান্তির পরিবেশ বিজেপিতে, মোদী-শাহের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে যোগী

উত্তরপ্রদেশে অশান্তির পরিবেশ বিজেপিতে, মোদী-শাহের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে যোগী - West Bengal News 24

বুধবারই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদ। কিন্তু ওই রাজ্যে স্বস্তিতে নেই বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যেভাবে করোনা অতিমহামারীর মোকাবিলা করেছেন, তাতে সন্তুষ্ট নন দলের অনেকে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দিল্লি যাচ্ছেন যোগী। তিনি দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে।

রাজধানীতে দু’দিন থাকবেন যোগী। অমিত শাহের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন বৃহস্পতিবার। শুক্রবার দেখা করবেন মোদী ও নাড্ডার সঙ্গে। এর আগে গত রবিবার দলের সাধারণ সম্পাদকরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারি বাসভবনে বৈঠকে বসেন। সেখানে উত্তরপ্রদেশের ভোট নিয়ে আলোচনা হয়। মোদী বলেন, ‘পরাজয় এবং জয়, দুই থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। সেই শিক্ষা নিয়েই পরবর্তী নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’

উত্তরপ্রদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সাংসদ লোকসভায় যান। পর্যবেক্ষকরা বলেন, উত্তরপ্রদেশ যে দলের দখলে থাকে তারাই দিল্লিতে শাসন করে। চলতি বছরে চারটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরিতে নির্বাচনে জয় ও পরাজয়, দু’য়েরই মুখোমুখি হয়েছে বিজেপি। অসমে দল ক্ষমতা ধরে রেখেছে। পুদুচেরিতে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে পরাজয় বড় ধাক্কা দিয়েছে গেরুয়া ব্রিগেডকে।

সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস একাই পেয়েছে ২০০-র বেশি আসন। এর ফলে বিজেপির নীচের তলার কর্মীরা অনেকে হতাশ হয়ে পড়েছেন। এই হতাশা কাটানোর জন্য এখন চেষ্টা করছে দল। অসমে ও পুদুচেরিতে জয়ের জন্য রবিবার প্রধানমন্ত্রী বিজেপি কর্মীদের অভিনন্দন জানান। দলের সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পরাজিত হলেও তাদের বিধায়কের সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৭।

চারটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে এখন গণ অসন্তোষের মুখে পড়েছে দল। উত্তরাখণ্ডে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বদল করেছে। কিন্তু নতুন মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াতও আপত্তিকর মন্তব্য করে দলকে বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলেছেন। সোমবার বিকাল পাঁচটায় মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তাতে তিনি মূলত দু’টি বড় ঘোষণা করেন। প্রথমত, ২১ জুন থেকে সরকার রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে।

ওষুধ কোম্পানিগুলি যে পরিমাণ ভ্যাকসিন উত্‍পাদন করবে, তার ৭৫ শতাংশ কিনবে কেন্দ্রীয় সরকার। বাকি ২৫ শতাংশ কিনবে রাজ্য। বেসরকারি হাসপাতালগুলি ভ্যাকসিনের ডোজ পিছু দেড়শ টাকার বেশি নিতে পারবে না। দ্বিতীয়ত মোদী ঘোষণা করেছেন, গতবছর প্রথমবার লকডাউন করার সময় ৮০ কোটি মানুষকে বিনা মূল্যে রেশন দেওয়া হয়েছিল। এবছরও প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় নভেম্বর মাস অবধি ৮০ কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হবে। আমরা চাই, কেউ যেন অভুক্ত অবস্থায় শুতে না যায়।

সুত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button