মুখোশ খুলে দেব নীতীশের, দলিতদের সব কথা জানাব, আক্রমন চিরাগের
সপ্তাহখানেক আগে চিরাগ পাসোয়ানের দল লোক জনশক্তি পার্টির ছ’জন বিধায়কের মধ্যে পাঁচজনই বিদ্রোহ করেছেন। অনেকেরই ধারণা, এই বিদ্রোহের পিছনে ইন্ধন আছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ সোমবার বললেন, নীতীশ কুমার দলিত বিদ্বেষী।
তিনি নিজের দল জেডি ইউ-তে দলিতদের প্রতি দুর্ব্যবহার করেন। এক সাক্ষাত্কারে চিরাগ বলেন, ‘এলজেপিকে কে নিয়ন্ত্রণ করবে, তা নিয়ে বলতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে। নীতীশ কুমার আমাদের দল ভাঙার চেষ্টা করছেন।’ নীতীশের কড়া সমালোচনা করে চিরাগ বলেন, ‘আমাদের দল কখনই নীতীশ কুমারের রাজনীতি পছন্দ করে না।
তিনি মহাদলিত নামে এক উপদল তৈরি করে দলিতদের ক্ষতি করেছেন।’ পরে তিনি বলেন, ‘নিজের দলে নীতীশ দলিতদের প্রতি কেমন ব্যবহার করেন, তা বিচার করলেই তাঁর মনোভাব স্পষ্ট হবে। তাঁরই জন্য দলিত নেতা জিতিন রাম মাঝিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে হয়েছিল।’ বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে চিরাগ বলেন, ‘আমি নীতীশ কুমারের মুখোশ খুলে দেব। আমার রোড শো-র সময়েই বিহার তথা সারা দেশের দলিতদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে, নীতীশ কুমারের আসল চেহারাটা কীরকম।’ এরই মধ্যে জানা যায়, মঙ্গলবার দিল্লিতে আসছেন নীতীশ।
জনতা দল ইউনাইটেড বলেছে, তাদের দলের নেতা ‘ব্যক্তিগত সফরে’ দিল্লিতে যাচ্ছেন। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের ধারণা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হবে শীঘ্র। জেডি ইউয়ের কয়েকজনকে যাতে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়, সেজন্যই মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন নীতীশ। ২০১৯ সালে মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জেডি ইউ-এর কোনও সদস্য নেই।
নীতীশের দল চেয়েছিল, তাদের দু’জনকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করতে হবে। বিজেপি বলেছিল, একজনকে মন্ত্রী করা হবে। তা নিয়ে নীতীশের সঙ্গে মোদীর মতবিরোধ হয়। জেডি ইউ সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের কেউ কেন্দ্রে মন্ত্রী হবেন না। সোমবার একটি সূত্র থেকে শোনা গিয়েছে, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে দেখা করবেন নীতীশ। তাঁর দল অবশ্য একথা উড়িয়ে দিয়েছে।
কিছুদিন আগে জেডি ইউ নেতা আর সি পি সিং বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাঁদের দলের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত। কারণ তাঁদের দল বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ শরিক। লোকসভায় জেডি ইউয়ের ১৬ জন এমপি আছেন।
সূত্র : দ্য ওয়াল