লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন টেন্ডারের নাম করে! অভিযোগ প্রোমোটারদের
ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি প্রোমোটারদের সঙ্গেও প্রতারণা করেন দেবাঞ্জন দেব। ভুয়ো ভ্যাকসিন চক্রের মূল পান্ডা দেবাঞ্জন প্রোমোটারদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন বলেই উঠে আসছে অভিযোগ। পুরসভার টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রোমাটারদের থেকে ৪০ লক্ষ টাকা নেন দেবাঞ্জন দেব।
আবার আরেক প্রোমোটারের থেকে ২৬ লক্ষ টাকা নেন। অথচ কোনও টেন্ডারের বরাত পাইয়ে দেননি দেবাঞ্জন দেব। কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার পরিচয় দিয়ে দেবাঞ্জন দেব ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন প্রোমোটারের থেকে। কলকাতা পুলিশের কাছে এই মর্মে ৩ প্রোমোটার এসে দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করে।
প্রসঙ্গত, ধৃত দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় একটি মৌখিক অভিযোগ এসেছিল। গত বছর মার্চ মাসে ঘটেছিল ঘটনাটি। এ প্রসঙ্গে পুলিশ দেবাঞ্জন দেবকে সেইসময় জেরায় করেছিল। আর সেইসময় থেকেই দেবাঞ্জনের মা-বাবা জানতে পারেন তাঁদের ছেলে ভুয়ো আইএএস অফিসার। ভুয়ো আইএএস অফিসার সেজে দেবাঞ্জন দেব বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশিও চালান।
গতকাল রাতে দেবাঞ্জন দেবের মাদুরদহের বাড়িতে যান তদন্তকারী অফিসাররা। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন দেবাঞ্জনকেও। মাদুরদহের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিপত্র, ডেবিট কার্ড, সরকারি কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে তদন্তকারী অফিসাররা। দেবাঞ্জনকে জেরা করলেই উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।
ভ্যাকসিন কিনতে চেয়ে সেরাম ইনস্টটিটিউটকে ইমেল করেছিলেন দেবাঞ্জন। তবে শেষপর্যন্ত সেরাম থেকে ভ্যাকসিন কিনতে পারেননি তিনি। এর পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার নাম দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ করেন সুস্মিতা ব্যানার্জিকে। সুস্মিতা ব্যানার্জিকে চাকরির নিয়োগপত্রও দেন পুরসভার নামে।
কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে কাজ করতেন সুস্মিতা। তবে দেবাঞ্জনের প্রতারণার ব্যাপারে কোনও কিছু জানা নেই বলেই জানিয়েছেন সুস্মিতা ব্যানার্জি। পুরসভায় কাজ পেয়েছি বলেই জানতাম। এখন দেখছি আমার সঙ্গেও প্রতারণা করেছে দেবাঞ্জন দেব।
সূত্র : আজকাল