রাজ্য

হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির অপসারণ চেয়ে চিঠি

হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির অপসারণ চেয়ে চিঠি - West Bengal News 24

কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলকে সরিয়ে নেওয়া হোক। এই দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এমভি রামানাকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেব। তিনি তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক। স্বভাবতই অশোক দেবের চিঠির বক্তব্য ঘিরে রাজনীতি শুরু হয়েছে।

বিজেপির বক্তব্য, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি যেহেতু রাজ্য সরকারেকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে চেপে ধরেছেন তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় বিধায়ককে দিয়ে বার কাউন্সিলকে ব্যবহার করছেন বিন্দালের অপসারণ নিশ্চিত করতে। চিঠিতে অশোকের মোদ্দা কথা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিরপেক্ষ নন। তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হোক।

এদিকে, অশোক দেবের ওই চিঠি নয়া মাত্রা পেয়েছে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর একটি ট্যুইট ঘিরে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে ‘কনফিডেন্সিয়াল’ মার্ক করে লেখা চিঠির কপি-সহ অমিত ট্যুইটটি করেন। সোমবার সকালে অশোক দেব বলেন, ‘বিজেপির আইটি সেল আমার চিঠির কপি পেল কী করে? চিঠি তো আমি লিখেছি দেশের প্রধান বিচারপতিকে।’ তবে ওই চিঠির বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে আইনজীবী মহলের অনেকেরই। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য বার কাউন্সিল আইনজীবীদের সংগঠন।

রাজ্য সরকারের হয়ে ব্যাটিং করার দায়িত্ব বার কাউন্সিলকে কে দিল? চিঠির বক্তব্য অশোক দেবের ব্যক্তিগত বলেও অনেকে মত দিয়েছেন। চিঠিটি অশোক দেব লিখেছেন দিন তিনেক আগে। তাতে নন্দীগ্রাম ভোট মামলা, নারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের জামিন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিবিআই অফিসে ধর্না, সেই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির মুখ্যমন্ত্রীর নাম জড়িয়ে দেওয়া সত্ত্বেও হাইকোর্টে তাঁকে এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করার অনুমতি না দেওয়া, বিগত কয়েক দিনের এমন সমস্ত ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অশোক।

নন্দীগ্রাম ভোট গণনা মামলা বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাস থেকে সরানোর দাবি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। তিনিই ওই মামলা করেছেন। গণনায় কারচুপি করে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। তৃণমূলের অভিযোগ, বিচারপতি চন্দ বিজেপির ঘনিষ্ঠ। তাঁর কাছে নিরপেক্ষ বিচার আশা করা যায় না। ওই বিচারপতির এজলাস থেকে মামলা সরানোর আর্জি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মঞ্জুর করেননি।

সূত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button