জানা-অজানা

যেভাবে বুঝতে পারলেন তিনি বিশ্ব বিখ্যাত ‘মিম’

Sarim Akhtar : যেভাবে বুঝতে পারলেন তিনি বিশ্ব বিখ্যাত ‘মিম’ - West Bengal News 24
সারিম আখতার

পাকিস্তানের মোহাম্মদ সারিম আখতার এই সময়ের বেশ পরিচিত এক মুখ। ২০১৯ বিশ্বকাপে টনটনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচটি দিয়েই সামনে আসেন এই পাকিস্তানি।

ওই ম্যাচে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিং, ব্যাটিং, বোলিং হতাশ করে তোলে পাকিস্তানি সমর্থকদের। যারা মাঠে বসে খেলা দেখেছেন তাদের হতাশায় কুকড়ে যাওয়া ছিল চোখে পড়ার মতো।

তেমনই একজন পাকিস্তানি সমর্থক সারিম আখতার। অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের মূল্যবান ক্যাচ মিস করেন থার্ড ম্যান অঞ্চলে থাকা আসিফ আলী। তাতে গ্যালারিতে থাকা পাকিস্তানি দর্শকার হতাশায় নিমজ্জিত হন। তাদের সেই অভিব্যক্তি দেখানোর ফাঁকে ক্যামেরায় ধরা পড়েন গ্যালারিতে থাকা সারিম আখতারের চেহারা।

দেখা যায়, বেশ বিমর্ষ আর বিরক্তি নিয়ে কোমরে হাত দিয়ে এক দর্শক তাকিয়ে রয়েছেন মাঠের দিকে। সেটিই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। স্ক্রিনশটের এই সময়ে কোনো কিছুই তো আর মিস হবার নয়। তেমনই মিস যায়নি সারিম আখতারের সেই মুহূর্তটাও।

যা শেষে নামকরণ হয় ‘মিম’ বলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবিটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ম্যাচ শেষে সারিম আখতার বুঝতে পারেন, তিনি এখন ‘মিম’।

এ নিয়ে সারিম খান একটি ইংরেজি দৈনিককে জানান, “আমার নাম যখন মানুষ জানতে পারে তখনই আমার ফেসবুক একাউন্টে শত শত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসতে থাকে। এমন কী উগান্ডা, বোতসোয়ানা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ থেকেও। সারারাত আমার ফোনে কল আসতে থাকে। তখনই বুঝলাম, আমি ছড়িয়ে পড়েছি সারা বিশ্বে।”

সারিম আখতারের হতাশ চেহারাটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইউরোপের দেশগুলোতেও। তিনি বলেন, “আমাকে এক লোক এসে জিজ্ঞেস করল, আমি কী আপনার চেহারাটা আমার ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার করতে পারি? যাতে করে আপনার হতাশ চেহারাটা বারবার আমার সামনে ভেসে উঠবে এবং কার্ড ব্যবহার থেকে বিরত রাখে।”

সারিম আখতার আরও বলেন, তার এই চেহারার ছবিটি ‘নন ফাঞ্জেবল টোকেন (এনএফটি)’ বা অপরিবর্তনীয় স্বারক সংস্থা থেকে আবেদন করা হয়েছে এই চেহারার স্বারক সংগ্রহের জন্য।

আরও পড়ুন ::

Back to top button