সুর নরম করলেন সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেসের নতুন সংসদীয় কমিটিতে ‘বিদ্রোহী’রাও
শুরু হতে চলেছে লোকসভার বাদল অধিবেশন। এমনিতেই এখন করোনা পরিস্থিতি, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে কোনঠাসা কেন্দ্রীয় সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ওপর আরও চাপ বাড়াবেন বিরোধীরা। সেই কাজই শুরু করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বাদল অধিবেশনকে মাথায় রেখেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিলেন তিনি।
২০১৪ সালের পর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে কংগ্রেসের। এর মাঝেই বহু রাজ্য হাতছাড়াও হয়েছে তাঁদের। দলের অন্দরেও দেখা গিয়েছে মনোমালিন্য। তবে মতপার্থক্যকে দূরে সরিয়ে এবার সংসদীয় কমিটিতে ‘জি-২৩’ তথা বিদ্রোহী নেতাদেরও স্থান দিলেন সোনিয়া। সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে তরুণ নেতাদের পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হল পি চিদম্বরম, মনীশ তিওয়ারি, অম্বিকা সোনি, দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো নেতাদেরও।
গতবছর দলের সাংগঠনিক পদগুলিতে রদবদল চেয়ে নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন ২৩ জন প্রবীন কংগ্রেস নেতা। এর পরেই পদ খোয়াতে হয়েছিল ওই নেতাদের। তবে এক্ষেত্রে আর বৈরিতা রাখলেন না সোনিয়া। সংসদীয় কমিটিতে জায়গা পেলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী,শশী থারুর, মনীশ তিওয়ারির মতো নেতারাও।
একটি চিঠিতে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘কংগ্রেস সংসদীয় কমিটির সভাপতি হওয়ার দরুণ এই কমিটিকে নতুনভাবে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। এর ফলে দল লোকসভা, রাজ্যসভা দুই কক্ষেই বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারবে বলে আমার ধারণা। যে কোনও সংসদীয় কাজে এই দল প্রতিদিন বৈঠকে বসবে এবং একত্রে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি আরও জানান, অন্যান্য দলের সঙ্গে সমঝোতা থেকে শুরু করে কোনও বিলের সমর্থন-বিরোধিতা কিংবা আংশিক সমর্থন ইত্যাদি সহ একাধিক সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটিই। লোকসভা কিংবা রাজ্যসভায় কোন বিষয় নিয়ে চর্চা করা হবে, তা নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন এঁরাই।
সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া