‘ব্রাহ্মণরা বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না বলে আশা করব ‘, উত্তরপ্রদেশে নয়া ভোট স্ট্রাটেজিতে মায়াবতী
২০২২ সালের লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের মাটিতে এখন থেকেই চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি, কংগ্রেস ও সমাজবাদীপার্টি। এবারে সেখানে দাঁড়িয়ে আর পিছিয়ে থাকতে রাজী নয় মায়াবতীর দল বহুজন সমাজবাদী পার্টি। মূলত জাতপাতের রাজনীতি নির্ভর উত্তরপ্রদেশে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নয়া স্ট্রাটেজি নিয়ে ময়দানে নামতে চলেছেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী।
তিনি আগামী বিধানসভায় যে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটে যাচ্ছেন না তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মূলত একলা চলো নীতিতেই গোবলয়ের মাটিতে ২০২২ সালের বিধানসভার ভোটে লড়তে চান তিনি। আর সেক্ষেত্রে দলিত ভোটারদের পাশাপাশি উচ্চ বর্ণের বিশেষ করে ব্রাহ্মণ ভোটের উপরেই নজর দিতে চান মায়াবতী। মূলত উত্তরপ্রদেশের বুকে বিজেপির হাতে থাকা ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের ভোটই বাইশের বিধানসভা ভোটে মায়াবতীর মূল টার্গেট।
মায়াবতী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনেব্রাহ্মণরা বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না বলে আশা করব। আর সেই লক্ষ্যে আগামী ২৩ জুলাই অযোধ্যা থেকেই নয়া ভোট কৌশল নিয়ে ময়দানে নামতে চলেছেন তিনি। মূলত এখন থেকেই তাঁর দল বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেতা নেত্রীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি এলাকায় দলিত সম্প্রদায়ের পাশাপাশি ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের সঙ্গেও তাঁরা যেন জনসংযোগ তৈরি করেন।
ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের ভোটারদের মন পাওয়ার জন্য নতুন স্ট্রাটেজিও ঠিক করে ফেলেছেন বিএসপি নেত্রী। সেক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরে উত্তরপ্রদেশে থাকা ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের উপর যে সমস্ত বঞ্চনা, অবহেলা ও উদাসীনতা হয়েছে সেগুলিকেই এবার তুলে ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াবে তাঁর দল।
একইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের আমলে দলিতদের উপর যে সমস্ত অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে সেই সমস্ত অত্যাভচারের ঘটনা তুলে ধরেও বিজেপির উপর চাপ বাড়াতে চলেছেন তিনি। একইসঙ্গে মায়াবতী বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধেও ময়দানে নামবেন বলেও জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মূলত, দলিত সম্প্রদায়ের যে ভোট ব্যাঙ্ক মায়াবতীর কাছে রয়েছে, সেইসঙ্গে এবারে উচ্চবর্ণ ও বিশেষ করে বিজেপির হাতে থাকা ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের ভোটে থাবা বসাতে চাইছেন তিনি। আর সেটা সম্ভব হলে বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের ভোট কাটাকুটির অঙ্কে দাঁড়িয়ে বাইশের বিধানসভা নির্বাচনে কিস্তিমাত করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন তিনি।
সূত্র : প্রথম কলকাতা