প্রযুক্তি

ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ করার জন্য এই অ্যাপগুলোই যথেষ্ট, না ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি ডিলিট করুন

ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ করার জন্য এই অ্যাপগুলোই যথেষ্ট, না ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি ডিলিট করুন - West Bengal News 24

স্মার্টফোন আছে আর তাতে অ্যাপ নেই, এ যেন ভাবাই যায় না। আর বর্তমানে কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে অ্যাপের ব্যবহার আরও বেড়েছে। অনলাইনে ওষুধ, জামাকাপড়, খাবার বা মুদিখানার জিনিষ কেনাকাটার জন্য আমরা হরেকরকমের অ্যাপ ব্যবহার করি। আবার, অফিসের মিটিং বা ই-লার্নিং-এর জন্য ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপগুলি মোবাইলে থাকা এখনকার দিনে অনেকটা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া, ফিটনেস সচেতকরা এখন ফোনে বিভিন্ন হেলথ ও ফিটনেস সংক্রান্ত অ্যাপ রাখে। এককথায়, অ্যাপের ছড়াছড়িতে মোবাইলের এখন নাজেহাল দশা। আর এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফে।

এক্ষেত্রে, ক্লাউড স্টোরেজ কোম্পানি PCloud, বহুল ব্যবহৃত ১০০টি অ্যাপকে নিয়ে একটি পরীক্ষা করেছিল। তারা খোঁজার চেষ্টা করেছিল, কোন অ্যাপগুলি সর্বাধিক মোবাইলের ব্যাটারি ড্রেন করে, মেমোরি ব্যবহার করে এবং পারফরম্যান্সকে ধীর করে দেয়।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, “কোন অ্যাপ্লিকেশনগুলি ফোনে বেশি প্রভাব ফেলে তা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আমরা কয়েকটি বিষয় বুঝতে পেরেছি – যে অ্যাপগুলি মোবাইলের অন্যান্য অ্যাপকে ব্যবহার করে এবং ক্যামেরা বা লোকেশন স্ক্যান করার অনুমতি চায়, সেগুলি অধিক ব্যাটারি ব্যবহার করে।

আবার মোবাইলে ডার্ক মোড অন থাকলেও ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়।” পিক্লাউডের রিপোর্ট অনুসারে আজ আমরা আপনাদেরকে এমন ২০টি অ্যাপের তালিকা দেব, যেগুলি মোবাইলের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়ার জন্য দায়ী। এই অ্যাপগুলি আপনার ফোনে থাকলে এবং ব্যবহার না করলে ডিলিট করে দিতে পারেন।

এই ২০টি অ্যাপ আপনার মোবাইলের ব্যাটারি লাইফকে প্রভাবিত করে

​১. YouTube : ইউটিউব একটি জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ।

২. FitBit : ফিটবিট হলো একটি হেলথ এবং ফিটনেস সংক্রান্ত অ্যাপ। এটিকে ইউজাররা ফিটবিট ট্র্যাকার বা স্মার্টওয়াচের সাথে কানেক্ট করে ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপ, ইউজারের অ্যাক্টিভিটি, ওয়ার্কআউট, স্লীপ, নিউট্রিশন এবং স্ট্রেস ট্র্যাক করে।

​৩. My Verizon : মাই ভেরাইজন হলো একটি ক্যারিয়ার অ্যাপ। এটির মাধ্যমে ইউজাররা তাদের অ্যাকাউন্ট পরিবর্তনকে ট্র্যাক করার পাশাপাশি আরো বেশকিছু কাজ করতে পারবেন।

৪. ​Uber : উবার একটি ক্যাব পরিষেবা প্রদানকারী অ্যাপ।

৫. ​Skype : স্কাইপ একটি ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপ। এতে ভয়েস এবং ভিডিও কলিং ফিচার আছে।

৬. ​Facebook : এটি একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপ। এর মাধ্যমে ইউজাররা নিজেদের বন্ধু-বান্ধব এবং পরিজনদের সাথে ডিজিটালি যোগাযোগ বজায় রাখতে পারেন।

​৭. Airbnb : এই অ্যাপটিকে ভ্যাকেশন রেন্টাল দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

৮. ​Bigo Live : এটি একটি লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপ, যা ইউজারকে লাইভ চ্যাট করতে এবং বিশ্বব্যাপী মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে দেয়।

​৯. Instagram : ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম হলো একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপ। এখানে ইউজাররা ফটো, স্টোরি এবং শর্ট ভিডিও শেয়ার করতে পারেন।

​১০. Tinder : টিন্ডার হলো একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপ।

​১১. Amazon : অ্যামাজন হলো একটি অনলাইন শপিং অ্যাপ।

১২. ​Booking.com : এই অ্যাপটি হোটেল বুক করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ডিল এবং ডিসকাউন্ট অফার করে থাকে।

​১৩. Bumble : টিন্ডারের মতো বাম্বল -ও একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপ।

১৪. ​Grindr : সমকামী, উভকামী এবং ট্রান্সজেন্ডার মানুষের জন্য এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপ্লিকেশনটিকে লঞ্চ করা হয়েছে।

​১৫. Likee : লাইকি হলো একটি শর্ট ভিডিও তৈরি এবং শেয়ার করার অ্যাপ।

১৬. ​LinkedIn : এটি হলো একটি প্রফেশনাল জব সার্চিং নেটওয়ার্কিং অ্যাপ।

১৭. ​Snapchat : অ্যাপটিতে ইউজাররা বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করতে পারে। ইউজাররা অ্যাপটি ব্যবহার করে ফটো এবং ভিডিও তুলতে এবং শেয়ার করতে পারেন।

১৮. ​Telegram : টেলিগ্রাম হলো একটি ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ।

১৯. ​WhatsApp : হোয়াটসঅ্যাপ হলো বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপ। এটিতে, ম্যাসেজ, ভয়েস এবং ভিডিও কলিং ফিচার আছে।

২০. ​Zoom : জুম একটি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ। এটি করোনাকালীন সময়ে ওয়ার্ক-ফর্ম-হোম বা ই-লার্নিং-এর জন্য ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button