পুরুলিয়া

মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে মাওবাদী পোস্টার, চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়

মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে মাওবাদী পোস্টার, চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায় - West Bengal News 24

পুরুলিয়ায় ফের দেখা গেল মাওবাদী পোস্টার। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই পোস্টারগুলি বিভিন্ন এলাকায় সাটিয়ে দিয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে যা নিয়ে স্থানীয়স্তরে আতঙ্কও তৈরি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পোস্টারগুলি ছিঁড়ে বা খুলে নিয়ে যায়।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সাত সকালেই পুরুলিয়ার বরাবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের জল ট্যাঙ্কি মোড়, রজদহ গ্রাম, তুমরাসোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কেক্রো ড্যাম, নিশ্চিন্তপুর গ্রাম, পড়শা এবং ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বোরদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুকুচারি মোড়ে একাধিক মাওবাদী পোস্টার দেখা যায়।

পোস্টারগুলি বিভিন্ন বাড়ি, দোকানের দেওয়াল লাগানো ছিল। লাল কালিতে হাতে লেখা পোস্টারগুলির নীচে সিপিএম মাওবাদী লেখা ছিল। তবে পোস্টারগুলি আদৌ মাওবাদীদের কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রীতিমতো রহস্য তৈরি হয়েছে পোস্টারগুলি নিয়ে।

আরো পড়ুন : বাবার যৌন লালসার শিকার নাবালিকা! ১৫ বছর বয়সেই হয়ে পড়ল অন্তঃসত্ত্বা

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই জঙ্গলমহল এবং পুরুলিয়ায় মাঝে মধ্যেই মাওবাদী পোস্টার মিলছে। স্থানীয় ও জেলা স্তরের তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের হুমকি দিয়েই পোস্টারগুলি লেখা। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের অনুমান, সেগুলি আদৌ মাওবাদী পোস্টার নয়। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে বিরোধীরাই রাতের অন্ধকারে পোস্টার সাঁটছে।

রাজ্য প্রশাসনের দাবি, মাওবাদীদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিশেষ করে তাঁদের রাজ্য পুলিশের স্পেশাল হোমগার্ডে চাকরিও দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই তিন ধাপে প্রায় ১৩০০ জন মাওবাদী সদস্য় হোমগার্ডে চাকরি পেয়ে কাজ করছেন। এছাড়া পোস্টারগুলি ছাড়া ওই এলাকায় মাওবাদীদের কোনও অস্তিত্ব পায়নি পুলিশ। যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

সূত্র: এই মুহুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button