বাঁকুড়া

ছাত্রীকে পড়াতে এসে টাকা-গহনা চুরি করতে গিয়ে পাকড়াও বাঁকুড়ার শিক্ষিকা

ছাত্রীকে পড়াতে এসে টাকা-গহনা চুরি করতে গিয়ে পাকড়াও বাঁকুড়ার শিক্ষিকা - West Bengal News 24

একদিনে নয়, বেশ কয়েকদিন ধরে চলছিল ছাত্রীর বাড়ি থেকে টাকাপয়সা হাতানোর কাজ। হাতিয়েও নিয়েছিলেন অনেকটাই। নগদ আর হয়না মিলিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। ধরা পড়ে গেলেন হাতেনাতে। তার কাছ থেকে উদ্ধারও হয়েছে সেই সব নগদ টাকা আর গয়না। বাড়ির মেয়ের গৃহশিক্ষিকা যেন এমন কাজ করতে পারেন সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না বাড়ির লোকেরা।

তেমনি ভেবে পাচ্ছেন না সেই গৃহশিক্ষিকার পরিবারের সদস্যরাও। সব থেকে বড় বিষয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যে এমন কুকীর্তি করবে সেটা বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরের মানুষেরাও দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন। এর থেকেও অবাক হওয়ার বিষয় এই চুরির পিছনে কোনও কারন খুঁজে পাননি পুলিশের আধিকারিকেরা। পুলিশের হাতে ধরা পড়েও নির্বিকার সেই গৃহশিক্ষিকা। এহেন রত্নসমা গৃহশিক্ষিকার নাম প্রার্থনা কোলে। বাড়ি হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার পুরশুড়া গ্রামে।

আরো পড়ুন : চালকের সঙ্গে পরকীয়া! বিধায়ক চন্দনা বাউরির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

জানা গিয়েছে, প্রার্থনা সম্প্রতি বিষ্ণুপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি পেয়েছেন। তার জেরেই বিষ্ণুপুর শহরের শাঁখারিবাজারে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকতে শুরু করেন। সেই এলাকারই একটি ছাত্রীকে তিনি বাড়িতে গিয়ে টিউশানি পড়াতেও শুরু করে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, প্রার্থনা আসার পর থেকেই সেই ছাত্রীর বাড়ি থেকে রহস্যজনক ভাবে টাকাপয়সা আর গয়না উধাও হতে শুরু করে।

বাধ্য হয়ে ওই ছাত্রীর পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ ওই বাড়িতে গোপন জায়গায় সিসিটিভি লাগাতেই পরিষ্কার হয় যে প্রার্থনাই ওই বাড়িতে যখন কেউ থাকতো না তখন আলমারি খুলে টাকাপয়সা আর গয়না বার করে নিত। এরপর পুলিশ একরকম জোর করে প্রার্থনা যে বাড়িতে ভাড়া থাকতো সেখানে হানা দিয়ে তার ঘর তল্লাশি করতেই নগদ ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা ও সঙ্গে দেড় লক্ষ টাকার সোনার গয়না উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় প্রার্থনাকে।

আরো পড়ুন : বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতায়, ভাসবে উত্তরবঙ্গের এই পাঁচ জেলা

জানা গিয়েছে, পড়াতে গিয়ে বিভিন্ন অছিলায় ওই ছাত্রীকে বাইরে পাঠাতো প্রার্থনা। সেই সুযোগে ঘর থেকে নিয়ে নিত সোনার গয়না, নগদ টাকা। ধাপে ধাপে এভাবেই ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা সরিয়ে ছিল সে। বিষয়টি জানাজানি হতেই লজ্জায় মুখ লুকিয়েছে প্রার্থনার পরিবারের সদস্যরাও। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এহেন কুকর্ম করে ধরা পড়ে বাড়ির মানসম্মান মাটিতে মিশিয়ে দেবেন এই কথা তাঁরা স্বপ্নেও ভাবেননি।

ঘটনার তদন্তে নেমে হতবাক খোদ পুলিশের আধিকারিকেরাও। বাড়ির পরিচারক থেকে পরিচারিকারা এখন হামেশাই চুরি বা ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে। খুনের মামলাতেও নাম জড়াচ্ছে তাদের। কিন্তু তা বলে গৃহশিক্ষিকা চোর! এটা ভাবতেই এখন অসুবিধা হচ্ছে পুলিশেরও। তবুও এটাই চরম সত্য।

সূত্র: এই মুহুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button