রাজনীতিরাজ্য

সাত বিধানসভায় কোভিড প্রায় শূন্য, উপনির্বাচনের দাবিতে রিপোর্ট তৃণমূলের

সাত বিধানসভায় কোভিড প্রায় শূন্য, উপনির্বাচনের দাবিতে রিপোর্ট তৃণমূলের - West Bengal News 24

২০২১-এর মে মাসে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে জিতে টানা তিনবার ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে বিতর্কিতভাবে স্বল্প ব্যবধানেো হেরেও মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন। শর্ত ছিল ছ-মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে এখনও কোনও উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রায় চলে গিয়েছে। করোনার সংক্রমণ অনেকটাই স্তিমিত। যদিও দুয়ারে কড়া নাড়ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ, তবু বাংলা আত্মবিশ্বাসী করোনা রুখতে। করোনার নিম্নমুখী গ্রাফে বাংলার সাত কেন্দ্রে করোনা রয়েছে আর নামমাত্র। তৃণমূল এবার নির্বাচন কমিশেন সাত কেন্দ্রের করোনা-রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

আরো পড়ুন : রাজ্যের যেকোনও প্রান্ত থেকে রেশন কার্ডে আধার লিঙ্ক করুন, জেনে নিন পদ্ধতি

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে জানতে চেয়েছিল এই কোভিড পরিস্থিতিতে বাংলার সাতটি কেন্দ্রে কীভাবে উপনির্বাচন সম্ভব। আগামী ৩০ অগাস্টের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলিকে মতামত পাঠানোর কথা জানিয়েছিল। এরই মধ্যে তৃণমূল সাত বিধানসভা কেন্দ্রের কোভিড গ্রাফের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট আকারে জমা দেবে তৃণমূল।

তৃণমূল ঠিক করেছে, কোন সপ্তাহে কত আক্রান্ত, কতজন ছাড়া পেয়েছেন, কতজন সক্রিয় রয়েছে, তা টেবিল করে জমা দেবে তৃণণূল। তৃণমূলের দাবি, করোনার প্রকোপ কমে গিয়েছে, এখন ভোট করা যেতে পারে কোনও সংশয় নেই। যখন বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে, তখন অনেক বেশি ছিল করোনা সক্রমণের হার। তখন যদি ভোট হতে পারে, এখন তো করোনার সংক্রমণ প্রায় শূন্য, তাহলে কেন উপনির্বাচন হবে না।

আরো পড়ুন : মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম ভরে দিচ্ছে সিপিএম, বিরল দৃশ্য দেখছে মেদিনীপুর শহর

তৃণমূলের দাবি, মুর্শিদাবাদের দুটি আসনে নির্বাচন হবে। গোটা মুর্শিদাবাদে বেশ কয়েকদিন ধরে নামে মাত্র সংক্রমণ হয়েছে। জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে তো গত ১০ দিনে একটাও সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

কোচবহারের দিনহাটায় নিশীথ প্রামাণিক বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এই কেন্দ্রে গত ১০ দিনে জনা চারেক সংক্রমিত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে গত এক সপ্তাহে ৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় কারও শরীরে কোভিড সংক্রমণ হয়নি। ভবানীপুর, শান্তিপুরের করোনা সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণে।

তৃণমূলের মতো অন্যান্য রাজনৈতিক দলও আগামী সপ্তাহে কমিশনে রিপোর্ট জমা দেবে। বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে তারা চিঠি দিয়ে জানাবে, কোভিডের দোহাই দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি করলেই আটক করা হচ্ছে, তাহলে এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সম্ভব নির্বাচ করা। সিপিএম-কংগ্রেসও জানাবে তাঁদের কথা। উল্লেখ্য, উপনির্বাচনের দাবিতে দিল্লিতে দরবার করেছিল তৃণমূল। তারপরই সমস্ত দলকে চিঠি লিখে রিপোর্ট চায় কমিশন।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন ::

Back to top button