সিপিআই(এম) এর রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত নেতা অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস কলম ধরেছিলেন ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি’ শীর্ষক বিষয়ে। তাঁর সেই লেখা প্রকাশিত হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-তে।
সেই লেখারই শেষ কিস্তিতে তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখেছিলেন অজন্তা যা ভালো চোখে নেয়নি বাম নেতৃত্ব। তার জেরেই ৬ মাসের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরপরে পরেই এদিন তৃণমূলের মুখপত্রে এই ঘটনার জন্যই সিপিআই(এম) কে একহাত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
এদিন জাগো বাংলায় প্রকাশিত ওই সম্পাদকীয় বার্তায় অজন্তার পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত তোপ দাগা হয়েছে সিপিএমের বঙ্গ নেতৃত্বকে। সেখানে সাফ বলা হয়েছে, অজন্তার লেখা ছিল পুরোপুরি ইতিহাসভিত্তিক। সেটি কোনও রাজনৈতিক লেখা নয়। তাই প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর নিরিখে উঠে এসেছে মমতার নাম। অথচ সেই লেখার সামগ্রিকতার বিচার না করেই ‘সংকীর্ণ’ মানসিকতার জেরে লেখক অজন্তাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
আরো পড়ুন : ‘লেডি তালিবান’ মমতা সায়ন্তনের এই মন্তব্য নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেত্রী লকেট?
অজন্তাকে শাস্তি দেওয়া নিয়ে সিপিএম-কে কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, ‘আজব দল সিপিএম। নিজে ডুবেছে। শরিকদের ডুবিয়েছে। শূন্যে নেমেও এখনও শিক্ষা হয়নি।’ সরাসরি অজন্তার পাশে দাঁড়িয়ে সেখানে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে অনিল এবং অজন্তা সিপিএম-এর হয়ে কী কী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘লেখকের স্বাধীনতা মেনে একটি শব্দও বাদ না দিয়ে বামপন্থী নেত্রীদের নাম ছাপতে পারে, তা হলে আজও সিপিএম কেন এত সংকীর্ণ, কূপমণ্ডূক?’
আরো পড়ুন : উল্টো সুর, পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবিতে দিলীপ ঘোষের বিরোধিতা লকেট-রাহুলের
অজন্তার শাস্তির প্রসঙ্গে ওই লেখায় উঠে এসেছে অতীতের কথা। অজন্তার মতো ঘটনা যে আগেও ঘটিয়েছে সিপিএম, তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই সম্পাদকীয়তে। প্রয়াত নৃপেন চক্রবর্তী থেকে সইফুদ্দিন চৌধুরী, সমীর পুততুণ্ড থেকে সুজিত বসু কিংবা লোকসভার প্রয়াত স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়- ‘নিজের মত প্রকাশ করে’ সিপিএম-এ শাস্তি পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা উল্লেখিত হয়েছে।
তরুণী অধ্যাপককে শাস্তির নামে গোষ্ঠীবাজির অভিযোগও আনা হয়েছে শাসকদলের মুখপত্রে। সিপিএম-কে কটাক্ষ করার পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে ওই সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘অজন্তা বিশ্বাসকে শাস্তির ঘটনাক্রমে সময় এলে সঠিক জবাব পাবে সিপিএম।’
সূত্র : এই মুহুর্তে