রাজ্য

‘সরকারি চাকরি ছাড়া করব না’, এই মানসিকতা ছাড়তে হবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

‘সরকারি চাকরি ছাড়া করব না’, এই মানসিকতা ছাড়তে হবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - West Bengal News 24

বাংলার বিরোধী দলগুলি প্রায়ই অভিযোগ করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) সরকার আসার পর থেকে সরকারি শূন্যপদে লোক নিয়োগ থমকে গেছে। সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, অধীর চৌধুরীরা এও বলেন, স্থায়ী পদে কম পয়সায় অস্থায়ী লোক রেখে ওই টাকা দিয়ে খেলা-মেলার মোচ্ছব চলছে রাজ্যে। একটার পর একটা প্রজন্ম শেষ হয়ে যাচ্ছে।

শনিবার দুপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে সরকারি চাকরি নিয়ে তাত্‍পর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘বাংলাকে আমি যে ভাবে গড়ে দিচ্ছি তাতে কারও অসুবিধা হবে না। অনেকে চাকরি পেয়েছেন। বাকিরাও আগামী দিনে পাবেন।’ এরপরেই দিদি বলেন, ‘সরকারি চাকরি ছাড়া করব না এটা যেন কেউ মনে না করে। যা পাবেন নিয়ে নেবেন। স্বপ্নটা বড় হোক। টাকা কম হোক ক্ষতি নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ চলছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নিয়োগ হচ্ছে। আর ত্রিপুরায় শিক্ষকদের চাকরি চলে গেছে। সরকারি কর্মচারী ওখানে ঠিক মতো মাইনে পান? কোথাও পান না। অসম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ কোথাও না।’

আরো পড়ুন : ‘দিনরাত চন্দনা-চন্দনা করছে আমার বরটা’, ওঝার কাছে ছুটছেন ‘প্রথম’ স্ত্রী রুম্পা

বিজেপি নেতাদের মমতার হুঁশিয়ারি, বললেন চাইলেই মহিলা কেসে ব্যবস্থা নিতে পারি মমতা এদিন দাবি করেন, বাংলায় বেকরত্ব ৪০ শতাংশ কমে গেছে। সেই সঙ্গে তাঁর জমানায় কোন কোন জায়গায় কী ভাবে কত কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে তারও খতিয়ান শোনান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে পাঁচ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। সিলিকন ভ্যালির জন্য ১০০ একর জমি দিয়েছিলাম, ফুরিয়ে গেছে। আবার ১০০ একর দিচ্ছি। তথ্যপ্রযুক্তির সুফল সারা রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে আরও চারটি আইটি পার্ক শুরু হচ্ছে।

গতিধারা প্রকল্পে ৪৪ হাজার ছেলে-মেয়েকে গাড়ি কেনার টাকা দেওয়া হয়েছে। ৯০ লক্ষ এমএসএমই ইউনিট তৈরি হয়েছে বাংলায়। প্রসঙ্গত, অনিয়মিত এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিরোধীরা রোজই সমালোচনায় মুখর হয় মমতা সরকারের। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও জটিলতা চলছেই। একটা মামলার জট কেটে যেই না নিয়োগ শুরু হচ্ছে ওমনি আরএকটা মামলা সব ঘেঁটে দিচ্ছে। এদিন সরকারি চাকরির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ‘বাংলায় চাকরিবাকরির গল্প শেষ হয়ে গেছে।

আরো পড়ুন : ‘ব্ল্যাকমেল’ করেন রাজ্যপাল! বিস্ফোরক মমতা ব্যানার্জি

এখানে এখন সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ পেতেও তৃণমূলের নেতাদের টাকা দিতে হচ্ছে। আর দিদিমণি বলছেন বড় স্বপ্ন দেখতে। যার পেটে ভাত জুটবে না সে স্বপ্ন দেখবে কী করে?’ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘কেন্দ্র, রাজ্য দুই সরকারই শূন্যপদে নিয়োগের ব্যাপারটা লাটে তুলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন পকোড়া ভাজতে, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন চপ ভাজতে। দুই সরকারের অপদার্থতার ছাঁকা তেলে ভাজা হচ্ছে লক্ষ কোটি বেকারের স্বপ্নকে।’

সূত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button