বিজেপি (BJP) অনেক দিন ধরেই প্রচার করে, ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।’ অর্থাত্ মোদী (Narendra Modi) মানেই মুশকিল আসান। তাঁর পক্ষে সব সম্ভব। তিনি সব পারেন। কিন্তু বুধবার থেকে পাল্টা প্রচারে নামল কংগ্রেস (Congress)। শতাব্দীপ্রাচীন দল যেন বুঝিয়ে দিতে চাইল, মাঠ ফাঁকা দেওয়া হবে না গেরুয়া শিবিরকে। নানান ইস্যু তুলে কংগ্রেস নিশানা করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই। স্লোগান তুলল, মোদী হ্যায় তো মেহেঙ্গাই হ্যায়।
In all of South Asia, India has the highest petrol prices – what does this tell you about the “Vishwaguru”, Modi ji intends to transform our nation into?#IndiaAgainstBJPLoot pic.twitter.com/WMyOHZPVUm
— Congress (@INCIndia) September 1, 2021
বিজেপি যেমন মোদীকে বিশ্বগুরু হিসেবে তুলে ধরে জনমানসে এই ধারণা তৈরি করতে মরিয়া যে মোদী শাশ্বত। তিনি যাহা করিবেন তাহাই ঠিক। তখন কংগ্রেস ময়দানে নামল এটা তুলে ধরতে, দেশের এই যে সংকট তাঁর প্রধান কারণ নরেন্দ্র মোদী। তিনিই মুশকিল।
এমনিতেই আগামী বছর গোড়ার দিকে পাঁচ রাজ্যের ভোট রয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক সলতে পাকানো শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই মূল্যবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অধোগতি, দেশজুড়ে সাম্প্রিদায়িক হানাহানি, দলি-সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ইত্যাদি নিয়ে ময়দানে নামল কংগ্রেস। প্রাথমিক ভাবে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ডিজিটাল ময়দানে নেমেছে কংগ্রেস।
একথা ভুলে গেলে চলবে না, কংগ্রেস জমানায় যখন মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী তখন লিটার প্রতি পেট্রোপণ্যের দাম বাড়লেই ঝাঁঝাল আক্রমণব শানাতেন বিজেপি নেতানেত্রীরা। আর মোদী জমানায় পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। অগ্নিমূল্য রান্নার গ্যাসও। পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়লে যে জনিসপত্রের দাম বাড়ে তা অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়ম।
কংগ্রেস সেটাকেই তুলে ধরতে চেয়েছে। চলতি মাসেই দেশজুড়ে প্রতিবাদে নামছে কংগ্রেস। শুধু কংগ্রেস নয়। সমস্ত অ-বিজেপি দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামবে বলেই ঠিক হয়েছে। সনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকেই ১৯ পার্টির নেতানেত্রীরা এ ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েছিলেন। সেপ্টেম্বরের পয়লা তারিখেই তা শুরু করে দিল কংগ্রেস।
সূত্র: দ্য ওয়াল