চন্দনার বিরহে ‘দেবদাস’ হলেন কৃষ্ণ, দিনরাত মদ্যপান, ফের ভর্তি হাসপাতালে চন্দনা বাউড়ির ড্রাইভার
চন্দনার বিরহে কাতর চালক কৃষ্ণ। এর আগে কৃষ্ণ পাগল হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করেন তাঁর স্ত্রী রুম্পা। জানিয়েছিলেন কৃষ্ণ সারাদিন চন্দনা-চন্দনা করছেন। তারপরই ঝাড়ফুঁক করানোর জন্য একটি জায়গাতেও নিয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু তা একেবারেই কাজে আসেনি। এখন নাকি দিনরাত মদ্যপান করছেন কৃষ্ণ।
আর এর ফলে ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে মঙ্গলবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হল কৃষ্ণকে। আর সেখান থেকেই এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার ও বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ন মুখার্জিকে সতর্ক করলেন তিনি।
চন্দনার সঙ্গে তাঁর এই দূরত্ব বাড়ায় ওই দুজনকে হুঁশিয়ারি দিলে বলেন, ’এবার ওঁদের মুখোশ খুলে দেব’। বমি, প্রবল মাথা যন্ত্রনা থাকা নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছেন না কৃষ্ণ। রুম্পাদেবী জানান, ‘জন্মাষ্টমীর দিন সকাল থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর স্বামী। অবস্থার অবনতি হতে থাকায় ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে ফিরে সারাদিন মদ্যপান করত কৃষ্ণ। আর স্বামীর এরূপ অবস্থার জন্য শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনাকেই দায়ী করছেন রুম্পা। ওএর আগে রুম্পা বলেছিলেন, ‘আমার স্বামী পাগল হয়ে গিয়েছে। চন্দনাকে আনব, চন্দনাকে আনব বলছে।
চন্দনা যদি ওকে ভালবেসে বিয়ে করে থাকে, তাহলে এতদিনে খোঁজখবর করত। জানি না, কী হবে।’ এদিকে কৃষ্ণ বলেন, ’রাজনৈতিক স্বার্থেই আমার আর চন্দনার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করা হচ্ছে। এর জন্য ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখার্জি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার দায়ী। দুর্নীতি করেছে ওঁরা। আমি এবার ওঁদের মুখোশ খুলে দেব।’
প্রসঙ্গত, গত ১৮ অগাস্ট চন্দনা ও গাড়ির চালক কৃষ্ণ বিয়ে করেছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। আর সেই থেকেই চন্দনা-কৃষ্ণকে নিয়ে নতুন নতুন ঘটনা সামনে আসছে।
সূত্র: আজকাল