একসময়ে একই দলের সৈনিক হলেও এখন তাঁরা প্রতিপক্ষ। বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময় থেকে একে অপরকে আক্রমণ করে চলেছেন। ভোটের পরেও বজায় রয়েছে সেই ধারা। আলোচিত দুই ব্যক্তি হলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং কুণাল ঘোষ। প্রথমজন এই মুহূর্তে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অপরজন শাসকদলের রাজ্য সাধারণ সম্পাক।
তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘ দিন লড়াই করলেও গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে নাম লেখান শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে শুরু থেকেই সরব হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। কাঁথিতে শুভেন্দু’র গড়ে গিয়েও আক্রমণ শানিয়েছেন। ভোটের পরেও বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে। বরাবরই কুণালের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু। যা নিয়ে পালটা জবাব দিয়েছেন কুণাল।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বারবার বলেছেন, “দীর্ঘ দিন জেলে থাকা ব্যক্তির কথার জবাব আমি দেব না।” সম্প্রতী নারদ মামলার চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। যেখানে অনেকের নাম থাকলেও শুভেন্দুর নাম নেই। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থার সারদা-নারদ নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কুণাল শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি করেন। তিনি জানান, নন্দীগ্রামের বিধায়ককে গ্রেফতার করে নিজেদের নিরপেক্ষতা দেখাক সিবিআই।
যা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই একই সুর শোনা গিয়েছে শুভেন্দুর গলায়। সারদা কাণ্ডে কুণাল ঘোষের গ্রেফতারি এবং সুদীর্ঘ কারাবাস নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন। যার পালটা জবাবে কুণাল বলেছেন, “হ্যাঁ আমি জেলে ছিলাম। কারণ আর প্রেক্ষিত সবাই জানেন। আমি এখনও মাথা উঁচু করে আইনে লড়ছি, কারণ আমি অন্যায় করিনি। তুমি তদন্ত আর জেল থেকে বাঁচতে মেরুদণ্ডহীনের মত বিজেপির পা চাটতে গেছো। অসহিষ্ণু হয়ে আসল প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যাচ্ছো। তুমি আদৌ পুরুষ কি না, সন্দেহ আছে।”
সূত্র: কলকাতা টিভি