সোমবার গিয়েছিলেন একবালপুরের ১৬ আনা মসজিদে।’সৌজন্য সাক্ষাৎ’ সেরেছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে। মমতার সেই ঝটিকা জনসংযোগ নিয়ে ফের তোষণের রাজনীতি বলে আক্রমণ করেছে বিজেপি (BJP)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে পদ্মপুকুরের উত্তম উদ্যানে হিন্দিভাষী ভোটারদের সঙ্গে বৈঠকে এনিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
তৃণমূল নেত্রী বলেন,’আমি মসজিদে গিয়েছিলাম বলে আমাকে কটাক্ষ করছে বিজেপি। আমি মন্দিরে গিয়েছি। গুরুদ্বারেও গেলাম। বিজেপির এই ধরনের কায়দা পছন্দ করি না। গুজরাতি হোক, মারোয়াড়ি হোক-কারও খারাপ চাই না। আমি আপনাদের রক্ষা করব। পুজোর মতো ছটেও ছুটি থাকে। আমি মায়াপুরে জমি দিয়েছি। সেখানে পর্যটনস্থল হবে। মন্দির হবে। যার যা ধর্ম তাই করুন।’
আরও পড়ুন : গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ, প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন
এ দিন সম্প্রীতি ও সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন,’গুজরাত হোক, রাজস্থান হোক, ইউপি হোক বা বাংলা হোক- সকলের আলাদা সংস্কৃতি আছে। আমি মুড়িও খাই, হালুয়াও খাই। আমি রাজস্থানে গেলে যেমন আজমেঢ় শরিফে যাব। তেমনই পুস্করেও যাই। নন্দীগ্রামকে পাকিস্তান বলেছিল। ভবানীপুরকেও পাকিস্তান বলছে। এটা আমার দেশ, আমার মাতৃভূমি। অন্য কিছু কেন হবে? আমি আমার দেশ, মাতৃভূমিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। আপনারা শান্তিতে থাকুন। আপনারা ভালো থাকুন।
এই হিন্দুস্তান আরও উন্নতি করবে। আমার লড়াই জারি থাকবে। এই মাটি হিন্দুস্তানের। এই মাটি রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, নজরুলের। এটাই আমাদের দেশ। আগে দেশ। পরে আমি।’ এই মঞ্চ থেকে ২০২৪-র বার্তাও দিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়,’বাংলাই হিন্দুস্তানকে রক্ষা করবে। হিন্দুস্তান কখনও পাকিস্তান হবে না।’
নোটবন্দির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল নেত্রী (TMC Supremo) বলেন,’নোটবন্দির সময় কী হয়েছিল আপনারা দেখেছেন! আমি রোজ বড়বাজার যেতাম। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলতাম।’ ভবানীপুরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মমতা। সে কথা উল্লেখ করে নেত্রী বলেন,’শোভনদা আমাকে ভবানীপুরে জায়গা ছেড়ে দিল। ঘরে ফিরতে পেরে খুশি। ভবানীপুরের জন্যে আমি কে? বিশেষ কেউ নই। আমি সাধারণ মানুষ। আমার সৌভাগ্য যে আমি ভবানীপুর থেকে লড়ছি।’
সূত্র: ২৪ ঘন্টা