কোটি টাকারও বেশি তছরুপ! CBI জালে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির কর্মী
ইচ্ছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টারিতে কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। আর এই অভিযোগে রাইফেল ফ্যাক্টারিতে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি হিসাবরক্ষকের কাজ করতেন। ধৃত ওই ব্যাক্তির নাম মধুসূদন মুখোপাধ্যায় বলে জানা গিয়েছে। কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের ঘটনাতে সরাসরি ওই ব্যক্তি জড়িত বলে জানা গিয়েছে। আর সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত মধুসূদনকে।
জানা গিয়েছে মধুসূদনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই আধিকারিকরা। আধিকারিকদের মতে, এই কেলেঙ্কারির পিছনে আরও বেশ কয়েকন জড়িত। রাইফেল ফ্যাক্টারির মাথারাও জড়িত বলে অনুমান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। মধুসূদন মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে এই বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন : বিদায় নেয়নি নিম্নচাপ, জেলায় জেলায় ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস
ইচ্ছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টারিতে গত কয়েক বছর আগে বড়সড় একটি কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। জানা যায়, ২০১২-২০১৬ সালের মধ্যে ১.৭ কোটি টাকার তছরূপ হয়। সেই মামলার তদন্ত শুরু হয়। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। বেশ কয়েক বছর ধরে মামলার তদন্ত চালায় তদন্তকারীরা।
তদন্ত চলাকালীন একাধিক বিষয় উঠে আসে। তবে আজ বুধবার সকালে হঠাত করেই রাইফেল ফ্যাক্টারিতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হয় কোষাধ্যক্ষকে। তবে এই টাকা কোথায় যেত তা খোঁজ চলছে। এমনকি মাওবাদীদের কাছেও এই টাকা কি যেত? তদন্তে আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, রাইফেল ফ্যাক্টারি থেকে অনেক সময়ে অস্ত্রের বিভিন্ন অংশ পাচার করা হতো। বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীদের হাতে তুলে দেওয়া হতো ওই অংশগুলিকে। বছরখানেক আগে এই ঘটনাতে কার্যত চমকে উঠেছিল গোটা দেশ। রাইফেল ফ্যাক্টারির একটা অংশ এই ঘটনাতে জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বামী মনোজিৎ, বিবাহবিচ্ছেদ চাইলেন শোভন বান্ধবী বৈশাখী
আর সেই তদন্তের মাঝেই বিপুল পরিমাণ এই আর্থিক কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। সেই তদন্তে নেমে অন্যতম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করেছে সিবিআই। কোথায়, কীভাবে এই টাকা ব্যবহার হতো তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও একের পর এক এই ঘটনা সামনে আসার পরেই ইচ্ছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টারিতে সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। ফ্যাক্টারি থেকে কোনও কিছু বাইরে যাওয়ার আগে একাধিকবার চেকিং করা হয়।
বলা রাখা প্রয়োজন, দেশের মধ্যে অন্যতম বৃহত্ অস্ত্র তৈরি কারখানাগুলির মধ্যে একটি ইচ্ছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টারি। বিভিন্ন ছোট বন্দুক, গুলি সেগুলি মূলত নির্মাণ করা হয় এই কারখানাতে।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া